পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত সংস্কার সভায় যোগদান । 》* এ দিকে আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্র ১২৭৭ সনের কাৰ্ত্তিক মাসে ইংলণ্ড হইতে কলিকাতায় প্ৰত্যাগমন করিয়া ভারত সংস্কার সভাৱ প্ৰতিষ্ঠা করেন। বিবিধ হিতকর কাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করাই উক্ত সৃভার উদ্দেশ্য ছিল। উক্ত সভার কাৰ্য্য সম্পাদনে যাহারা কেশবচন্দ্রের প্রধান সহায় হইয়াছিলেন এবং যাঁহাদের শরীরের প্রত্যেক রক্তবিন্দু ভঁাহার আরব্ধ। কাৰ্য্য সম্পাদনে ব্যয়িত হইবার জন্য উৎসৃষ্ট হইয়াছিল, গোস্বামী মহাশয় তাহদের অন্যতম । তিনি কেশবচন্দ্রের আহবানে ঢাকা হইতে সপরিবারে কলিকাতায় আসিয়া ভারত সংস্কার সভায় যোগদান করি।-- লেন ; এবং প্ৰাণ মন ঢালিয়া দিয়া উহার কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হইলেন । এই সময় তাহার পুত্ৰ যোগজীবন বাবু নিতান্ত শিশু । আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্ৰ তাহার আরব্ধ। কাৰ্য্য (১) শ্রমজীবীদের শিক্ষা (২) স্ত্ৰীজাতির উন্নতি (৩) সুলভ সাহিত্য প্রচার (৪) সুরাপান নিবারণ (৫) দাতব্য-এই পাঁচটা প্ৰধান ভাগে বিভক্ত করিয়া বিভিন্ন ব্যক্তির উপরে বিভিন্ন কাৰ্য্যের ভার ন্যস্ত করেন । গোস্বামী মহাশয়ের উপর প্ৰধানতঃ দাতব্য ও স্ত্রীশিক্ষার ভার অৰ্পিত হয়। তখন তিনি এবং র্তাহার বন্ধু সাধু অঘোরনাথ ‘ဇံ পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় স্ত্রীবিদ্যালয়ের শিক্ষার ভার গ্ৰহণ করিয়া উহার প্রভূত উন্নতি সাধন করিয়াছিলেন । উক্ত বিদ্যালয়ে বয়স্থ মহিলাগণ শিক্ষাপ্ৰাপ্ত হইতেন । এইরূপে বহুনারী উক্ত বিদ্যালয়ে মহাদুপকার লাভ করেন। উক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রীগণ ‘নারীজাতির উন্নতি বিধায়িনী” সভা স্থাপন করিয়া নারীজাতির উন্নতি সাধনে অগ্রসর হইলে গোস্বামী মহাশয় উক্ত সভার কোন অধিবেশনে ‘স্ত্ৰীজাতির প্রকৃত উন্নতি কি ?” এই সম্বন্ধে একটিী চিন্তাপূর্ণ প্ৰবন্ধ পাঠ করিয়াছিলেন। র্তাহার প্রবন্ধে মহিলাদের মধ্যে উৎসাহের সঞ্চার হইয়াছিল। উক্ত বিদ্যালয়ে কিরূপ সুপ্ৰণালী মতে