পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-আশ্রমে যোগদান । ›¢ዓ ভারত আশ্রম প্ৰতিষ্ঠায় গোস্বামী মহাশয় কেশবচন্দ্রের দক্ষিণ হস্তস্বরূপ ছিলেন। কেশবচন্দ্রও তাহঁকে এইরূপই মনে করিতেন । ধৰ্ম্ম পরিবার সংস্থাপন এবং পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করা ভারত-আশ্রম • প্ৰতিষ্ঠার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। ব্ৰাহ্ম পরিবার সকল একত্র একভাবে একই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে জীবন যাপন করিবেন ; সেবা, স্বাৰ্থত্যাগ ও ধৰ্ম্মানুষ্ঠান একত্র উদ্যাপিত হইবে ; স্নান, আহার এবং অন্যান্য নিত্য নৈমিত্তিক কৰ্ম্ম একত্র একভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তৎসঙ্গে চিন্তা, ভাব ও কাৰ্য্যের সমতা সাধন এবং এক ধৰ্ম্মপরিবার সংগঠন সহজে সাধিত হইবে ; এই উদ্দেশ্যে কলিকাতার অদূরে শ্ৰীযুক্ত জয়গোপাল সেন মহাশয়ের বেলঘরিয়াস্থ উদ্যানে ভারত-আশ্রমের প্রথম প্ৰতিষ্ঠা হয় ( ১২৭৭ সন ফাস্তুন মাস ) । আশ্রম প্ৰতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে গোস্বামী মহাশয় উহাতে সপরিবারে যোগদান করেন । “উক্ত আশ্রমে প্ৰাতে অন্তঃপুর-সংলগ্ন পুষ্করিণীতে মহিলাগণ এবং বহিঃস্থিত পুষ্করিণীতে পুরুষগণ একত্র মিলিত হইয়া স্নান করিতেন। তৎপর কিঞ্চিৎ প্রাতরাশ গ্ৰহণ পূর্বক উপাসনা গৃহে সকলে সমবেত হইতেন । নরনারী উভয়ে মিলিত হইয়া যখন ভগবানের চরণ তলে গমন করিতেন, তখন সমুদয় গৃহ স্বর্গের শোভায় পূর্ণ হইত। উপাসনান্তে নারীগণের নিদিষ্টস্থানে নারীগণ এবং পুরুষগণের নির্দিষ্ট স্থানে পুরুষগণ একত্ৰ ভোজন করিতেন। ভোজনান্তে যাহার যাহা দিবসের কাৰ্য্য তাহাতে নিযুক্ত হইতেন। অপরাহ্নে সকলে সমবেত হইয়া সৎপ্রসঙ্গে সুখে সময় ক্ষেপ করিতেন। সে সময়ে নরনারীর মুখে যে কি এক উৎসাহ উদ্যমেপূর্ণ স্বৰ্গীয় নবভাব অবতীর্ণ হইয়াছিল তাহা বৰ্ণনা দ্বারা প্ৰকাশ করা সম্ভবপর নহে।” *

  • আচাৰ্য্য কেশব চরিত ।