পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। ན་ཟི་ཆ༧། প্রেমসাধন কয়জনের সাধ্য ? রংপুরের প্রচার বিবরণেও তাহার এই অকপট প্রেমের পরিচয়ই পাওয়া গিয়াছিল। ১২৭৯ সনের শ্রাবণ মাসে গোস্বামী মহাশয় উত্তর বঙ্গের রংপুর প্রভৃতি স্থানে প্রচারার্থে গমন করেন। তৎকালের প্রচার বিবরণ সংক্ষেপে মুদ্রিত হইয়াছিল। উহা হইতে কিঞ্চিৎ সংগ্ৰহ করিয়া দিতেছি ;- ২১। শ্রাবণ প্ৰাতে রংপুর ব্ৰাহ্মসমাজে সমবেত উপাসক-মণ্ডলীর নিকট “উপাসনা ও উপাসনার আবশ্যকতা” সম্বন্ধে প্ৰাণস্পৰ্শী বক্তৃতা (উপদেশ) হয়। ‘এই বক্তৃতা দ্বারা অনেক দুষ্কৰ্ম্মা ও পতনশীল ভ্রাতার হৃদয় প্ৰবল রূপে আহত হইয়াছিল, অনেক নিজীবি হৃদয়ে শান্তি পবিত্ৰতা আসিবার কারণ হইয়াছিল, উপাসনা যে অন্নপানের ন্যায় অপরিহাৰ্য্য প্ৰয়োজনীয় বস্তু তাহা অনেক ভ্ৰাতা হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিয়াছিলেন । সেই মহাত্মা ( গোস্বামী মহাশয় ) এই দুদিন বর্ষাকালে নানাপ্রকার ক্লেশরাশি সহ্য করিয়া সুদুৰ্গম নদনদী সকল অতিক্রম পূর্বক এই দূরদেশে কেবল আমাদিগের দুঃখ দেখিয়া আগমন * করিয়াছেন। হে ভ্রাতৃগণ ইহা তোমরা বিস্মৃত হইও না।” ঐ দিন সায়ংকালে সঙ্গীত ও সংকীৰ্ত্তন সহকারে উপাসনা এবং পরকালে বিশ্বাস সস্বন্ধে একটা ‘সুদীর্ঘ ও উৎকৃষ্ট বক্তৃতা” হয়। ‘ইহা শুনিয়া অবধি সকলের পাপের প্রবৃত্তি কমিয়াছে, পরকালের জন্য জীৱন পবিত্ৰ করিতে ইচ্ছা জন্মিয়াছে।” পরদিন প্ৰাতে মন্দিরে উপাসনা ও বিশ্বাস সম্বন্ধে বক্তৃত হয়। “অদ্যকার উপাসনায় আরাধনা, ধ্যান, কৃতজ্ঞতা, প্ৰাৰ্থন প্ৰভৃতি উপাসনার অঙ্গগুলি এমন গম্ভীরভাবে সম্পন্ন হয় যে সমাগত-সভ্যগণ অনেকেই আশ্রমোচন করিয়াছিলেন।” সন্ধ্যার পর পুনরায় সামাজিক