পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার, : ১৬৩ ৷৷ উপাসনা হয়। “অন্থকার লাতৃভাব, ঈশ্বরপ্রীতি, উৎসাহ, অতি পবিত্র ও গম্ভীর । ভ্ৰাতৃগণ কতকাল যেন অনাহারে ছিলেন, আদ্য প্ৰেমান্ন ও পিতার কৃপাবারি প্রাপ্ত হইয়া পরিতৃপ্ত হইলেন।” ২৪ শে শ্রাবণ কাকিনার জমিদার শ্ৰীযুক্ত মহিমারঞ্জন রায়ের বাড়ীতে “জ্ঞান, ধৰ্ম্ম ও সুভ্যতার সামঞ্জস্য” বিষয়ক একটী সারগর্ভ বক্তৃতা হয়। উক্ত বক্তৃতায় সুরাপান, ব্যভিচার, উৎকোচগ্ৰহণ প্ৰভৃতি দুনীতির বিরুদ্ধে এবং ধৰ্ম্মশিক্ষার প্রয়োজনীয়তার অনুকূলে অনেক সুযুক্তির অবতারণা করা হয়। বক্তৃতান্তে তথাকার মুন্সেফ শ্ৰীযুক্ত গোপালচন্দ্ৰ বসু দ্বিতীয় দিন পুনৰ্ব্বার সভা হয় এরূপ ইচ্ছা প্ৰকাশ করিলে ২৭ শে শ্রাবণ দ্বিতীয় সভার দিন নিৰ্দ্ধারিত হয়। মুন্সেফ বাবুর দুরভিসন্ধি বুঝিতে পারিয়া কেহ কেহ বক্তাকে এই অভিপ্ৰায়ে সাবধান করিলেন যে তিনি যেন উক্ত সভায় উপস্থিত না হন । কিন্তু “তিনি ঈশ্বরের কাৰ্য্য করিতে আসিয়া অপমান সহ্য করিতে অশক্ত নহেন’ এই জন্য সভায় যাইতে নিরস্ত হন নাই । যথাসময়ে সকলে সভাস্থ হইলেন । ‘ইতিমধ্যে ব্রাহ্মেরা পরাস্ত হইবেন মনে করিয়া হিন্দু ভ্ৰাতাদের মধ্যে মহা আনন্দের পরিচয় পাওয়া গেল, এবং মুসলমান ভ্রাতারাও যেন কৌতুক দর্শনার্থ মহা সন্তোষ প্ৰদৰ্শন করিতে লাগিলেন। এমন সময়ে কামাখ্যাচরণ মুখোপাধ্যায় বলিলেন— “যে সকল ব্যক্তি বিজয় বাবুর বক্তৃতা শ্রবণ করেন নাই তাহারা যেন বিরুদ্ধমত প্ৰকাশ না করেন, কেননা তাহা শিষ্টাচার বিরুদ্ধ । ইহাতে মুন্সেফ বাবু “আমার আহুতসভা” এইরূপ অহঙ্কার-সূচক বাক্যে পূর্বোক্ত বক্তাকে বাধা দিয়া বিজয় বাবুর বক্তৃতার প্রতিবাদ আরম্ভ করিলেন। উহার মৰ্ম্ম এইরূপ :-( ১ ) জ্ঞান, ধৰ্ম্ম, সভ্যতার সামঞ্জস্য করা যায় না, তাহার প্রয়োজনও নাই ( ২ ) ধৰ্ম্মশিক্ষাদ্বারা জনসমাজকে