পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। “তোমরা দুইজন এক সময় সংসার ছাড়িয়া ধৰ্ম্মপথে অগ্রসর হইয়াছিলে। “থাক পড়িয়া থাক সংসার’ একথা বলিয়া তোমরা সের্থার চলিয়া গিয়াছিলে । " সেবার বাহ্যিক সংসার পরিত্যাগ করিয়াছিলে, এবার সামাজিক সংসার ছাড়িয়া চলিয়া যাও । অন্তরের সংসার অন্তরের } পাপ-বিকার পড়িয়া থাক এই কথা বলিয়া চলিয়া যাও । এবার উপাসনার ভিতরে তোমরা গভীর সাধনে নিযুক্ত হইবে । তোমরা এখনও ভাল করিয়া ঈশ্বরকে দেখা নাই, সেই প্ৰসন্ন পরমেশ্বরকে দেখা নাই র্যাহাকে দেখিলে আনন্দ-সাগরে পরামযোগী, পরমভক্ত ভাসেন । যাহার সৌন্দৰ্য্য সর্বদাই ভক্ত দিগকে অনুরঞ্জিত করিয়া রাখিয়াছে। ঈশ্বর তোমাদিগকে সেই স্থানে লইয়া যাইতেছেন, যেখানে সেই গম্ভীর বিধানের পরামদেবতা স্বহস্তে কাৰ্য্য করিতেছেন বুঝিতে পারা যায় । এই বিধানের আদিবৰ্ণ হইতে শেষবৰ্ণ পৰ্য্যন্ত সমস্ত পরমেশ্বরের হস্তের। ইহাতে কিছুমাত্ৰ মানুষের কৃত্রিম ব্যাপার নাই। সেই শাস্ত্ৰ কোথায় ? সেই বিধান কোথায় ? সেই ঈশ্বর কোথায় ? সম্মুখে তাকাইয়া দেখ বহুদূরে এই পথ অতিক্ৰম করিয়া যখন তোমরা সেই স্থানে যাইবে তোমাদের প্রাণ আনন্দে পরিপূর্ণ হইবে। বিজয় ও অঘোর তোমরা সেখানে গিয়া দেখিবে, তোমাদের ইচ্ছা! হইবে আরও উচ্চতর কোন ধামে গিয়া উপস্থিত হই। উপাসনা কেবল তীৰ্থ ভ্ৰমণ। কতক দূরে গিয়া দেখি। আবার সব ফেলিয়া যাইতে হইবে । এইরূপ কত বার যাত্ৰা আরম্ভ করিতে হইবে, কত বার শেষ করিতে হইবে, তাহার সীমা নাই । তোমাদিগকে আজ আব্দর করিব না, বড় লোক, বলিয়া সম্মান করিব না, তোমাদিগকে ক্ষুদ্র কীট বলিয়া তোমাদের ভ্ৰাতা ভগিনীদের পদতলে ফেলিয়া দিতেছি । তোমাদিগকে রাজ-বেশ দিব না, ধাৰ্ম্মিকদের মধ্যেও গণ্য করিব না।