পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধি, ;- অতিথি সমাগমে দণ্ডায়মান ও তঁহার যথোচিত সেবা বিশেষ তার ;--গোস্বামী মহাশয়ের প্রতি श्यांप्रे ७ উপাসনা স্থানের পরিষ্কার করার ভার অর্পিত হয়। এতদ্ব্যতীত তঁহাদিগকে নিয়লিখিত প্ৰতিজ্ঞায়ও আবদ্ধ হইতে হয়। “আমি কোন বিষয়ে মনে অহঙ্কার আসিতে দিব না, আমি নারী সম্বন্ধে কোন কুচিস্তা মনে আসিতে দিব না। আমি পর দুঃখে কাতর হইব না, আমার জিহবা, আমোদ প্ৰমোদে বা অসাবধানত বশতঃ মিথ্যা বলিবে না, আমি - কাহারও হৃদয়ে শক্ত কথা দ্বারা পীড়া দিব না, চিন্তায় বাক্যেতে ও কাৰ্য্যে আমি অনুগত দাসের ন্যায় থাকিব, আমি ভ্ৰাতাদিগের প্ৰসন্নতা ও আশীৰ্ব্বাদের জন্য সৰ্ব্বদা ব্যাকুল হইব, আমি নিজের মঙ্গল সাধুসেবা ও জগতের হিতসাধন জন্য উপযুক্ত পরিশ্রম না করিলে ঈশ্বরের ভাণ্ডার হইতে ধান্য লইবি না । ২৭ শে বৈশাখ( ১৭৯৮ শক ) যোগ ও ভক্তি শিক্ষার্থদ্বয়ের জন্য আরও একটী অনুষ্ঠান হয় । উহা এইরূপ :- “অদ্য হইতে আমরা উভয়ে ভিন্ন পথে বিচরণ করিতে প্ৰবৃত্ত হইলাম । আর আমাদের এখানে সাধনাবস্থায় একত্ৰ হইবার সম্ভাবনা নাই । আমাদিগের আশা সাধনে সিদ্ধ হইয়া আমরা গাম্যস্থানে উত্তীর্ণ হইলে পুনরায় একত্ৰ মিলিত হইব।” এই কথা বলিয়া উভয়ে উভয়কে প্ৰণাম পূর্বক কয়েকপাদ একত্ৰ গমন করিয়া পুনরায় একত্ৰ কুটীরে প্রবেশ পূর্বক শ্ৰীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, নাম গ্ৰহণার্থ তথায় অবস্থিতি করিলেন। শ্ৰীযুক্ত অঘোরনাথ গুপ্ত কুটীর হইতে বহির্গত হইয়া স্থানান্তরে গমন করিলেন । পরিশেষে আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্ৰ ‘হরিসুন্দর’ এই আমি স্বয়ং প্রথমে তিনবার পরে দশবার অনুচ্চস্বরে শ্ৰীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী দ্বারা উচ্চারণ করাইয়া স্বয়ং শ্রবণ করিলেন । অনন্তর