পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। হইয়াও তিনি শিস্যের বিত্তাপহারী ছিলেন না ; বরং নিঃস্ব দরিদ্র শিষ্যদিগকে অকুষ্ঠিত চিত্তে অর্থ সাহায্য করিতেন। তঁহার ঈদৃশী সহৃদয়ত, এবং অকপট ধৰ্ম্মনিষ্ঠ। আপামর সাধারণের অত্যন্ত শ্ৰদ্ধা ও প্রীতির কারণ হইয়াছিল। ইনি অকালে দুইবার বিপত্নীক হন ; এবং বহুদিনস্তর প্রায় পঞ্চাশ বৎসর বয়সে তৃতীয়বার দারপরিগ্রহ করেন। এই শেষোক্ত পত্নী স্বর্ণময়ীর গর্ভে র্তাহার দুই পুত্ৰ-জ্যেষ্ঠ ব্ৰজগোপাল এবং কনিষ্ঠ বিজয়কৃষ্ণের জন্ম হয় । ‘জননী স্বৰ্ণময়ীদেবী নানাগুণে ভূষিতা ছিলেন। দয়া, ঈশ্বর-ভক্তি এবং উদারতাতে এই নারী আবালবৃদ্ধ সকলের ভক্তি ও ভালবাসা, লাভ করিয়াছিলেন । জাতিনির্বিশেষে ‘দীন দুঃখীর অভাব মোচনে, হঁহাকে সৰ্ব্বদা ব্যগ্ৰ হইতে দেখা যাইত। ইহার হৃদয় আকাশের ন্যায় প্রশস্ত ছিল ; আত্মপর বিচার-বিরহিত হইয়া ইনি সকলকে সমান, চক্ষে দেখিতেন । কোন সময়ে ইহার গৃহে একটি পরিচারিকার পুত্র প্রতিপালিত হইত ; ইনি নিজ পুত্রদিগের সঙ্গে তাহার কোনরূপ প্ৰভেদ করিতেন না । মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ একদিন মায়ের ভালবাসার কথা বলিতে বলিতে বলিয়াছিলেন, “তিনি দাসী-পুত্ৰকে আমাদের সঙ্গে তুল্যরূপ: ভালবাসিতেন। একখানা থালা, একটী ঘটী, একটা গেলাস, একখানা, পিড়ে তাহাকেও নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছিলেন।” এ বিষয়ে অপরের কোনরূপ কথায় তিনি কৰ্ণপাত করিতেন না ; বরং দাসীপুত্ৰ বলিয়া, কেহ অবজ্ঞা করিলে বেদন অনুভব করিতেন । কৃপণাদিগের কথা উল্লেখ কুরিয়া তিনি দুঃখের সহিত বলিতেন, “আহা, ইহারা বড় কৃপার পাত্র, ኘ, ইহারা নিজের মহাপ্রাণীকে সর্বদা বঞ্চিত করে।” এজন্য তিনি কৃপণাদিগকে খাওয়াইতে বড ভালবাসিতেন।