পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

M-M ! ❖ቅቄ সঙ্গে গোস্বামী মহাশয়ের নিগুঢ় সম্বন্ধ রহিয়াছে। ऊँश भाई করিলে তাহার জীবনের পরিচয় পাওয়া যায়। বাহুল্য ভয়ে উহা উদ্ধৃত হইল না। ভারত-আশ্রমে অবস্থান কালে যখন তঁাহার কতিপয় ব্যক্তি নিৰ্জনসাধনে নিযুক্ত ছিলেন, তখন অনেক সময় এমন হইত। যে অন্যেরা উঠিয়া গেলেও তিনি বহুক্ষণ ছাদের উপর একাকী ধ্যানন্থ হইয়া বসিয়া থাকিতেন । ধৰ্ম্মসাধনে এইরূপ ঐকান্তিকী নিষ্ঠ তাহাতে পূৰ্ব্বাপর দৃষ্ট হইয়াছে। ভক্তির উচ্ছাসে তিনি অনেক সময় বিহ্বল হইয়া পড়িতেন । আচাৰ্য্যের উপদেশেও তঁহার এই অবস্থার বিষয় উল্লিখিত হইয়াছে। আর সাধু সন্ন্যাসী ও উদাসীনের প্রতি র্তাহার পূর্বাবধি স্বাভাবিকী শ্ৰদ্ধা ছিল। এ বিষয়ে বংশের প্রভাব তঁহাতে সৰ্ব্বদা পরিলক্ষিত হইয়াছে । স্বাভাবিকভাবে তাহার প্রকৃতিতে যে ভক্তির প্রভাব কাৰ্য্য করিতেছিল। উহাতে পথের একজন সামান্য বৈষ্ণবও তৎকর্তৃক অনাদৃত হয় নাই। এজন্য কোন স্থানে উদাসীন সাধুর দর্শন পাইলে সম্প্রদায় বা জাতির বিচার না করিয়া তাহার সঙ্গেই ধৰ্ম্মালাপ করিতেন। অনেক সময়, কলিকাতার গঙ্গার ঘাটে যে সমস্ত সাধু সন্ন্যাসীকে ভস্মলেপিত দেহে বসিয়া থাকিতে দেখিতেন। তঁহাদের সঙ্গেও ধৰ্ম্মালাপ করিতেন। সময় সময় এমন হইত। যে তঁহাদের ভাবে বিভোর হইয়া তাহদের প্রদত্ত তিলক ধারণ করিয়াই আশ্রমে আসিয়া উপনীত হইতেন । তিলকাদি ধারণ সম্বন্ধে তাহার কোন সংস্কার ছিল না ; একজন বৈষ্ণব তাহাকে তিলক দিয়া সুখী হইলেন তাহাই ধারণ করিলেন। যে অনুষ্ঠানে তঁহার বিবেক বাধা প্ৰাপ্ত না হইত। অথচ অপারে করিয়া সুখী হইত, তাহা করিতে তিনি বাধা দিতেন না। বন্ধুদের” কেহ কেহ ইহা পছন্দ করিতেন না। কিন্তু তঁাহার জ্বলন্ত ধৰ্ম্মপিপাসা ও দীনভাব তাহাকে অনন্যমুখাপেক্ষী করিয়াছিল। ܓ ܼ