পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ৰ্থে চিরদিনই সংকীর্ণ যতক্ষণ গ্ৰামে, বাসভবনে প্ৰবেশ না করা যায়, ততক্ষণ পথের প্রয়োজন। আমরাত্মা যখন অনন্ত পরমাত্মাসাগরে তরণীর ন্যায় আনন্দ হিল্লোলে ভাসিতে শিখিয়াছে তখন আর কি সে ডাঙ্গায় থাকিতে পারে ? জলের তরী জলেই বঁচিবে জলেই মরিবে । জল হইতে বিচ্ছিন্ন হইলেই তাহার তরিত্ব চলিয়া যায় প্ৰবল ঝটিকার উত্তাল তরঙ্গে নৃত্য করিতে করিতে যদি তাহার ক্ষুদ্র বক্ষ বিদীর্ণ হইয়া যায়, তাহা হইলে প্ৰাণ ভরিয়া সে সুবিমল প্ৰেম-বারি পান করিতে করিতে অনন্ত মহাসিন্ধুর অনন্ত বিশাল বক্ষে চিরদিনের মত লুক্কায়িত হইয়া যায়। কি সুখ, কি আনন্দ, কি আরাম।” * বস্তুতঃ কিরূপে দিনযামিনী ব্ৰহ্মসংসৰ্গ-স্বৰ্গে বাস করিয়া সকল বন্ধনমুক্ত হইবেন ও পরমাত্মা-সাগরে আত্ম-বিসর্জন করিয়া তাহার পরিপূর্ণ প্ৰেম-সুধা পান করিবেন। সেই আশাতে তাহার সাধনার কখনও বিরাম ছিল না। তিনি বলিয়াছেন -“যখন আমি বাগ আড়ায় ছিলাম। তখন এক দিন স্বপ্নে দেখিলাম, আমি একটা ভীষণ অরণ্যের মধ্যে বাস করিতেছি । অরণ্য ঘোরতর অন্ধকার ও হিংস্র৷ " জন্তুগণের বিকট চীৎকারে পরিাপূর্ণ। আমার সাথের সাখী কিছুই নাই। সে অরণ্য হইতে বাহির হইবার কোনও পথ পাইতেছি না । যতই চলিতে যাই, পথ হারাইয়া কেবল ঘুরিয়া মারি এবং কণ্টকাঘাতে শরীর ক্ষত বিক্ষত হয়। শ্বাপদগণ যেন প্ৰতি মুহুর্তে আমাকে গ্ৰাস করিতে আসিতেছে । आशि নিরাশ্রয় হইয়া দিশাহারা হইয়াছি এমন সময় উপরে একটী আলো দেখিলাম। রাস্তার বা দোকানের সাইনবোর্ডে যেমন একখানা হাত আঁকা থাকে সেই আলোর মধ্যে সেইরূপ একখানা হাত আঁকা দেখিলাম । তত্ত্বকৌমুদী Swoow sa