পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । আমাদের দোষে তাহাকাড়িয়া লইয়াছেন। ব্ৰাহ্মসমাজ বলিলে পূর্বের আদর্শের সহিত মিলাইয়া লইতে হইবে।” “বন্ধুগণ প্ৰাণসম ব্ৰাহ্মসমাজের আর দুৰ্গতি দেখিতে পারি না । প্ৰাণ ফাটিয়া যায়, আর না যথেষ্ট হইয়াছে, এখন ঈশ্বরের রাজত্ব বিস্তৃত হউক, সত্যের জয় হউক, ব্ৰাহ্মসমাজে শান্তি সদ্ভাব চিরস্থায়ী হউক ৷” গোস্বামী মহাশয়ের বক্তৃতা ও প্ৰবন্ধাদিতে বিবাহের আন্দোলন অত্যন্ত বিস্তৃত হয় ; পূর্ববঙ্গলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ প্ৰভৃতি স্থানে উহা অত্যন্ত প্রসারিতা লাভ করে । “ঢাকা প্ৰকাশে” তাহার যে সমস্ত পত্ৰ প্ৰকাশিত হইয়াছিল উহা হইতেও কিঞ্চিৎ উদ্ধত হইল ;- “পুর্বে মনে করিতাম। ব্ৰাহ্মসমাজ চিরশান্তির স্থান, এখানে কোন প্রকার গোলযোগ প্ৰবেশাধিকার করিতে পরিবে না । এখন তাহার সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা দেখিয়া নিতান্ত ব্যথিত হইয়াছি। এক একবার মনে করি ব্ৰাহ্মসমাজে যাহা হয় হউক, আর কোন প্ৰকার আন্দোলন করিব না। কিন্তু সত্যের প্রতি, ধৰ্ম্মের প্রতি এবং স্বদেশের দুরবস্থার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া আর স্থির থাকিতে পারি না । অন্যায় আসত্যের প্ৰতিবাদ না করা পাপ ; সুতরাং উদাসীন থাকিতে পারি না । আমি সত্য স্বরূপ পরমেশ্বর কর্তৃক আদিষ্ট হইয়া ব্ৰাহ্মসমাজকে রক্ষা করিবার জন্য সর্বসাধারণের নিকট নিবেদন করিতে প্ৰবৃত্ত হইলাম।” “কেশব বাবুর সঙ্গে আমার শক্ৰতা ছিল না, এখনও নাই। কেবল ব্ৰাহ্মসমাজের মঙ্গলের জন্য র্তাহার কথা বলিতে হইতেছে । আমাকেলোকে অস্থির চঞ্চল প্ৰভৃতি বলিয়া দোষারোপ করিতেছে। তাহাতে আমি দুঃখিত নহি । যখন যাহা সত্য বুঝিব তাহাই প্ৰতিপালন করিব। তজ্জন্য চিরদিন। বরং অস্থির থাকিতে অভিলাষ করি । " কিন্তু