পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্বপুরুষ—পিতৃ ও भड । G অপরকে খাওয়াইয়া ইহার এত সুখ হইতঃ যে, প্রতিদিন অন্ততঃ "চারি পাঁচ জন লোককে না খাওয়াইলে তৃপ্তি হইত না । ইনি বিধবা-' . বস্থায়, বহুদিন সংসারে ছিলেন । এজন্য অনেক সময় সুপাকে একাকী আহার করিতেন ; কিন্তু বলিতেন, “যে একাকী অ’, ‘পনার জন্য রান্না করে সে ত শেয়াল কুকুরের মত ; পাঁচ জনের কম। কিছুতেই রান্না করা উচিত নয়।’ এজন্য পাঁচ ছয় জন কি ততোধিক লোকের উপযোগী দ্রব্যাদি রন্ধন করিয়া লোকদিগকে ডাকিয়া আনিয়া খাওয়াইতেন । র্তাহার হৃদয় এরূপ কারুণ্য-পূৰ্ণ ছিল যে, লোকের দুঃখ একেবারে সহ্য করিতে পারিতেন না। একবার তাহার গৃহে-শাস্তিপুরে—এক কাষ্ঠী-বিক্রেতার সঙ্গে মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণের কাঠের দর লইয়া কথাবার্তা হইতেছিল ; কাঠওয়ালা একাদর, এবং গোস্বামী মহাশয় অন্য দর বলিতেছিলেন। কাঠওয়ালা তাহাতে সন্তুষ্ট না হইয়া বলিল, “আপনি মা-ঠাকুরাণীকে ডাকুন।” ইতিমধ্যে মাতা তথায় আসিয়া সমস্ত অবগত হইলেন ; এবং বলিলেন, “গরীব লোকের দুই চারি অ্যান মারিয়া কি তুই বড় লোক হবি ? উহাদিগের সহিত গোল করিস না, উহারা যা’ চায় তা’ই দে, উহার। গরীব লোক, উহাদিগকে কিছু বেশীই দিতে হয় ; নতুবা উহাদের স্ত্রী-পুত্রেরা কি খাইয়া বাছি বো ?” এই দয়াবতী নারী অনেক সময় শান্তিপুরের বাজারে যে সমস্ত দুঃখিনী বিধবা শাকসবজি বিক্ৰয় করিতে আসিত, এবং তঁহারই গৃহপাশ্ব দিয়া, চলিয়া যাইত, তাহাদিগকে ডাকিয়া আনিয়া খাওয়াইতেন । তাহাদের শুষ্ক-মুখ দেখিয়া র্তাহার কোমল প্ৰাণে বড় আঘাত লাগিত ; তিনি তাহাদিগকে না। খাওয়াইয়া থাকিতে পারিতেন না। তিনি এরূপ : মুক্তহস্ত ছিলেন যে, কাহারও দুঃখ দেখিলে নিজের অভাব ভুলিয়া গিয়া” শেষ কপর্দক পৰ্য্যন্ত দান করিয়া ফেলিতেন ।