পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের প্রচারক। SS হইয়া উহার প্রভূত উপকার . সাধনে প্ৰবৃত্ত হইলেন।” “র্তাহার । f ব্যাকুল আত্মা, তাহার ভক্তিবিনয়মিশ্ৰিত মধুৱ-চরিত্র, তাহার দেবী দুল্লভ উন্নত জীবন সকলেরই ধৰ্ম্মজীবনের আদর্শ ও সহায় হইয়া * উঠিল। তঁহার বাসভবন শাস্ত্রপাঠ, আলোচনা, সৎ প্রসঙ্গ, সাধু সমাগম ও কীৰ্ত্তনানন্দে প্রকৃত আশ্রমপদে পরিণত হইয়া উঠিল।” * ‘সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠায় মানুষের শক্তি অতি তুচ্ছ, কিন্তু বিধাতার অপূৰ্ব্ব কৌশল পশ্চাতে থাকিয়া উহার প্রতিষ্ঠা, সাধন করিয়াছে’ তিনি ইহাই বিশ্বাস করিতেন। একদিন শ্ৰীযুক্ত প্ৰতাপচন্দ্ৰ মজুমদার মহাশয় বলিয়াছিলেন যে —“সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজ বেশী দিন টিকিবে না। বিজয়, শিবনাথ গেলেই উহা ভাঙ্গিয়া যাইবে।” গোস্বামী মহাশয় বৃদ্ধ কৃষ্ণদয়াল রায় মহাশয়ের মুখে এইরূপ উক্তি শুনিয়া বলিয়াছিলেন ;- “প্ৰতাপ বাবুর ন্যায় লোক এরূপ কথা বলিতে পারেন? সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজ কি মানুষের গঠিত ? উহা যে বিধাতার স্বহস্তে রচিত ?” + গোস্বামী মহাশয়ের অন্যতম সহাধ্যায়ী বিদ্যাভূষণ মহাশয় লিখিয়াছেন ;-“সাধু বিজয় ও সাধু অঘোর উভয়েই এই মহারণের পর ( কুচবেহার আন্দোলনের পর ) প্ৰকৃত সন্ন্যাসী হইলেন, উভয়েরই মনে প্রগাঢ় বৈরাগ্য ভাব উদিত হইল। দুইটী উজ্জ্বল নক্ষত্ৰ দুই দিবে। ছুটিয়া বাহির হইলেন। একটী প্রাচ্যে ও একটা প্রতীচ্যে। দরিদ্রের কুটীরে, রোগীর রুগ্ন শয্যার পার্থে, পাপী ও তাপীর শূন্য ও হতাশ হৃদয়মন্দিরে ব্ৰহ্মজ্যোতিরূপে তাহারা আবিভূতি হইয়া দরিদ্রের দারিদ্র জনিত দুঃখ, রোগীর রোগের যাতনা, পাপীর অনুতাপ জনিত তাপ এবং শোক তাপে দগ্ধ ব্যক্তির অন্তর্দাহ বিমোচন করিয়া বেড়াইতে তত্ত্বকৌমুদী too * স্বৰ্গীয় কৃষ্ণদয়াল রায় মহাশয়ের মুখে শ্রুত ।