পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহাদিগের দ্বারে দ্বারে ঘুরিয়া তাহাদিগকে “মুক্তি পথের পথিক করিবার প্রয়াস করিয়াছিলেন ।** * সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠার পর গোস্বামী মহাশয় জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষভাগে ( ১৮০০ শক) সপরিবারে ঢাকাতে গমন করেন এবং পূর্ব'বাঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজের , আচাৰ্য্যের কার্য্যভার গ্রহণ করিয়া তথায় বাস করিতে থাকেন। ঢাকাতে র্তাহার কাৰ্য্য কিরূপ শ্ৰদ্ধার সহিত পরিগৃহীত হইয়াছিল তাহ পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজের নিম্নলিখিত মন্তব্য পাঠে কিঞ্চিৎ অবগত হওয়া যায় :- “বিজয় বাবুর আগমনে সমাজের সভ্যগণ বিশেষ উৎসাহিত ও আনন্দিত হইয়াছেন । তঁহার আগমনাবধি ব্ৰহ্মমন্দিরে উপাসনা কালীন এত লোক সমাগম হইতেছে যে মন্দির পরিপূর্ণ হইয়া যাইতেছে। পূর্ববঙ্গলা ব্ৰহ্মমন্দির যেরূপ একটী বৃহৎ এবং সুন্দর গৃহ বিজয় বাবুর ন্যায় লোক আচাৰ্য্য নিযুক্ত হওয়াতে সেই ব্ৰহ্মমন্দিরের বেদীর উপযুক্ত কাৰ্য্যই চলিতেছে তাহার সন্দেহ নাই । বিজয় বাবু হিন্দুশাস্ত্ৰ হইতে যে সমুদয় উপদেশ প্ৰদান করেন। তন্দ্বারা শ্রোতৃগণ বিশেষ সন্তোষলাভ এবং উপকার বোধ করিতেছেন। এমন কি পৌত্তলিকগণেরও বিজয় বাবুর উপদেশ শ্রবণ করিতে আগ্ৰহ দেখা যাইতেছে। বিজয় বাবুর কাৰ্য্যের প্রতি সভ্যগণের যে কতদূর শ্রদ্ধা তাহা ইহা দ্বারাই স্পষ্ট বুঝা যাইতে পারে যে র্তাহাদের মধ্যে অনেকে প্ৰতি মাসে বিজয় বাবুর মাসিক খরচের নিমিত্ত সমাজের নিয়মিত চান্দার অতি রিক্ত অর্থ সাহায্য করিতেছেন। বিজয় বাবু এখানে অবস্থান করাতে কেবল যে পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজেরই উপকার হইতেছে তাহা নহে, তন্দ্বারা পূর্ববঙ্গলার অন্যান্য স্থানেও ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারের সুবিধা হইতেছে।”

  • বীরপূজা, নব্যভারত।