পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ।

  • ৬ই পৌষ বন্ধুবর শ্ৰীযুক্ত নবকান্ত চট্টোপাধ্যায় এবং আমি ফরিদপুরে উপস্থিত হইয়া ৭ই পৌষ মানবপ্রকৃতি বিষয়ে বক্তৃতা কৰ্বি ৮ই পৌষ প্ৰাতঃকালে ও সায়ংকালে উপাসনা করি, ১০ই পৌষ আৰ্য্যজাতির উন্নতি ও পতন বিষয়ে বক্তৃতা করি, ১১ই পৌষ সাম্বাৎসরিক, উৎসব হয়, প্ৰাতঃকালে ও সায়ংকালে উপাসনা করি । * * এই কয়েক দিবসই এখানকার অধিকাংশ শিক্ষিত ভদ্ৰ মহোদয়গণ উপস্থিত হইয়া

གྲྭ་ལྔ། করিয়াছিলেন। ব্ৰাহ্মসমাজের হিতৈষী বন্ধু শ্ৰীযুক্ত নবকান্ত চট্টোপাধ্যায় মহাশয় দ্বারা ঢাকা নগরে বিশেষ কাৰ্য্য হইতেছে। তিনি শরীর মন এবং অর্থদ্বারা অক্লান্তভাবে ব্ৰাহ্মসমাজের মঙ্গলের জন্য চেষ্টা করিতেছেন । তিনি ব্ৰাহ্মসমাজকে আপনার বস্তু মনে করিয়া তাহার মঙ্গলের জন্য সৰ্ব্বদা চিন্তা করিয়া থাকেন।” সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজে প্রচার বিবরণ পাঠাইয়া তিনি ( ১ ) বিষয়ী প্রচারক (২) অবৈতনিক প্রচারক (৩) বেতনভুক প্রচারকদিগের কাৰ্য্য সম্বন্ধে নিম্নলিখিত প্ৰস্তাব ও মত উক্ত সমাজের সম্মুখে উপস্থিত করেন - “যে সকল স্থানে ব্ৰাহ্মসমাজ আছে সে সকল স্থানে স্থানীয় বিষয়ী প্রচারক দ্বারাই প্রচার কাৰ্য্য সম্পন্ন করা কীৰ্ত্তব্য। স্থানীয় ব্ৰাহ্মগণ অন্য প্রচারকের উপর নির্ভর করিলে তঁহাদিগের ধৰ্ম্ম চিন্তা, ধৰ্ম্মসাধন ক্রমেই বিলুপ্ত হইতে থাকিবে। প্রচারকরূপ সম্মার্জনী না পাইলে র্তাহার হৃদয়ের আবর্জন দূর করিতে পরিবেন না। নমস্তস্যৈ শ্লোক ( মহানির্ববাণ তন্ত্রোক্ত ) আবৃত্তি করিয়াছিলেন। তঁহার ভাববিহবলতায় উপাসকগণের মধ্যেও অত্যন্ত ভাবের উচ্ছাস হইয়াছিল। তিনি একটু শাস্ত হইলে শ্ৰীনাথ চন্দ মহাশয় হৃদয়স্পৰ্শী প্রার্থনা করিয়াছিলেন । প্রার্থনান্তে গোস্বামী মহাশয় বালকের সত্যানিনাদ নামকরণ করেন ।