পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । টাকা পয়সার বিষয়ে তিনি অ্যাপন পর হিসাব করিতে জানিতেন। না । একবার শেষ বয়সে তিনি যখন ঢাকায় যাইতেছিলেন তখন একজন ভদ্ৰ-লোক তাহার সঙ্গে যাইতে ইচ্ছক হন। কিন্তু ইকার পাথেয় ছিল না। তিনি বলিলেন, “আমার গাঠুরী বিক্রয় করিয়া তোমার পথেয়ের • সংস্থান কর।” ইহার সন্তান বাৎসল্যেও কিছু বিশেষত্ব ছিল । অকপট বাৎসল্য যে মানুষের মনকে দর্পণের ন্যায় স্বচ্ছ ও নিৰ্ম্মল করে, এই নারীর জীবন তাহার দৃষ্টান্ত । মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ র্তাহার জননীর কথা-প্রসঙ্গে এক দিন বলিয়াছিলেন,-“আমি বিদেশে যদি কোন আঘাত পাইতাম, রেগিৰীমন্ত্রণায় কাতর হইতাম, অথবা কোন হিংস্র জন্তুর সম্মুখে পড়িয়া সূক্ষ্ম-চিত্তে মাকে ডাকি,তাম, বাটী আসিবামাত্র মাতাঠাকুরাণী এক এক দিনের ঘটনা আশ্চৰ্য্যরূপে উল্লেখ করিতেন। গয়ার পাহাড়ে এক দিন ; পাথরে পা ঠেকি যা আমার এরূপ আঘাত লাগিয়াছিল যে, “মাগো’ বলিয়া চীৎকার করিয়াছিলাম। পরে বাটী আসিলে মা বলিলেন, “তুই কি খুব আঘাত পেয়েছিলি ? পায়ে পাথর ঠেকুলে যেমন আঘাত লাগে, হঠাৎ এক দিন আমার তেমনি হ’ল । আমি ভাবলাম ঘরে বসে আছি, পাথর কোথায় ? তখন তোর ডাক আমার কাণে বাজল । মনে হ’ল তুই কষ্ট পেয়েছিস ।” তিনি এইরূপ অনেক ঘটনার উল্লেখ করিতেন।” এমন পুণ্যশীলা দয়াবতী নারী যে শিশুকে পোষণ করিয়াছেন, স্তন-দুগ্ধের সঙ্গে সঙ্গে যে শিশুর মনে স্বীয় মনের মহম্ভাব-নিচয় অনুপ্রবিষ্ট করাইয়াছেন, তাহার ভবিষ্য জীবনের গতি কোন দিকে ধাবিত হইবে, তাহ সহজেই অনুমান করা যাইতে পারে। তাহার পক্ষে একজন মাহুম্বেন্ধুབ་ཙ মানুষ হওয়া, আশ্চৰ্য্যের বিষয় নয়। প্ৰকৃত, কথা,