পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: ১৯৮৮, মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। 激 প্রচার স্কারাই তাহার নিকট সঙ্গত বােধ হইয়াছিল। পক্ষান্তরে ইহাও স্বীকাৰ্য্য যে উপলব্ধিগত সত্য দেশীয় শাস্ত্রদ্বারা সমর্থিত হইলে তৎপ্রতি অধিকতর অনুরাগ জন্মে। এই কারণেই তদবলম্বিত হিন্দুশাস্ত্রের ব্যাখ্যা লোকের বিশেষ চিত্তাকর্ষক হইত । নিয়ে ‘ব্ৰহ্মপূজা’ হইতে কিঞ্চিৎ সংগৃহীত হইল - “হিমাচল শিখরে মৌনব্ৰতধারী সদানন্দ সদাশিবকে প্ৰসন্ন চিত্ত দেখিয়া জনগণের হিতের জন্য পাৰ্ব্বতী ব্ৰহ্মপূজা সম্বন্ধে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। তদুত্তরে শিবের উক্তি :- “বিশ্বের হিত করিলে বিশ্বাত্মা বিশ্বাপতি পরমেশ্বর প্রীত হয়েন । কারণ জগত তাহার আশ্রিত । তিনি এক, সৎস্বরূপ, সত্য, অদ্বৈত, পরাৎপর, স্বপ্ৰকাশ, সদাপূৰ্ণ, সচ্চিদানন্দ, নিৰ্ব্বিকার। * * সেই সত্যস্বরূপ, ঈশ্বরের সত্যত আশ্রয় করিয়া প্ৰত্যেক পদার্থ পৃথক পৃথক সত্যরূপে প্ৰকাশিত হইয়াছে। হে দেবি, তঁাহা হইতেই আমরা জন্মগ্রহণ করিয়াছি। সেই একমাত্র পরমেশ্বর সর্বভূতের কারণ। তিনি সৃষ্টিকৰ্ত্তা এজন্য ত্ৰিলোকে তিনি স্রষ্টা ও ব্ৰহ্ম বলিয়া গীত হইয়া থাকেন। যাহার ভয়ে বায়ু প্ৰবাহিত হয়, মেঘ বারি বর্ষণ করে, তরু সকল পুষ্পিত হয়, যিনি কালে কালকে নিয়মিত করেন, যিনি মৃত্যুর মৃত্যু, ভয়ের ভয় এবং বেদান্ত প্ৰতিপাদ্য, সমস্ত জগৎ তাহাকে আশ্রয় করিয়াই রহিয়াছে। তিনি তুষ্ট হইলে জগৎ তুষ্ট, তিনি প্রীত হইলে জগত স্ত্রত। র্তাহার আরাধনাতে সকলের প্রীতি হয়। তরুর মূলে জলসেচন করিলে যেমন সমস্ত শাখা পল্লব সজীব হয়, তদ্রুপ তাহার পূজাতে সকলেই প্রীত হয়। সেই ধ্যেয়, পূজ্য, সুখারাধ্য পরমেশ্বরের পূজা ভিন্ন মুক্তিলাভের অন্য উপায়, নাই। র্যার সাধনে কোন শ্ৰম নাই, উপবাস নাই, শারীরিক ক্লেশ নাই, আচারাদি নিয়মের প্রয়োজন নাই,