পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার। * : ఊr গৃহে ব্ৰহ্মপূজার মহামন্ত্র ওঁকার উৰ্দ্ধনাদে’ৰ সঙ্গুষ্ট দিগের শুভ কামনা সুসম্পন্ন করুন।” সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের জন্মাবধি গোস্বামী শ্ৰীহািশয় উক্ত সমাজের প্রচারকের কাৰ্য্য করিয়া আসিতেছিলেন। কিন্তু এই বৎসর ( ১২৮৬ সন) তাহারা চারিজন ( পণ্ডিত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, শিবনাথ শাস্ত্রী, রামকুমার বিদ্যারত্ন, শিবনারায়ণ অগ্নিহোত্রী) বিধিপূর্বক প্রচারক পদে অভিষিক্ত হইলেন। উক্ত সমাজের কার্য্য নিৰ্বাহক সভার প্রতিনিধি রূপে শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় ১১ই মাঘের উপাসনার পর উক্ত অভিষেক পত্ৰ পাঠ করেন । ঐ দিবস উপাসনায় গোস্বামী মহাশয় আচাৰ্য্যের কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। র্তাহার উপদেশের সংক্ষিপ্ত মৰ্ম্ম এইরূপ :- “পশ্চিম প্ৰদেশ হইতে কয়েকজন ঋষি ভারতবর্ষে আগমন করেন । তাহারা ভারতবর্ষে ব্ৰহ্মোপাসনা প্রচার করিয়াছিলেন । তঁহারা তপস্যা দ্বারা যে সমস্ত সত্য লাভ করিতেন। শ্রীতি পরম্পরায় সেই সকল ক্ৰমে প্রচারিত হইতে লাগিল। কিন্তু লোকে নিরাকার ব্রহ্মোপাসনা করিতে অসমর্থ হওয়ায় ক্ৰমে শ্রুতি ও বেদ পােঠই ব্ৰহ্মোপাসনা জ্ঞান করিয়া কুসংস্কার-জালে জড়িত হইয়া পড়িল । তখন তাহারা স্পষ্টাক্ষরে লোককে উপদেশ দিতে লাগিলেন ;—“অপর ঋগ্বেদে যজুৰ্ব্বেদঃ সামবেদোহািথর্ব বেদঃ শিক্ষাকল্পে ব্যাকরণ ছন্দো জ্যোতিষমিতি ।” এই-- রূপে তাহারা নিরাকার ব্ৰহ্মোপাসনার রক্ষকস্বরূপ হইয়া তাহা বিশুদ্ধ ভাবে প্রচার করিতে লাগিলেন । পরে নিরাকার ব্ৰহ্মোপাসনা ক্রমে বিলুপ্ত হইয়া যাইতেছিল, এমন সময়ে রাজা রামমোহন এই ১১ই মাঘে ব্ৰহ্মোপাসনার পুনরুদ্ধার করেন। অদ্য আমরা তঁহার কৃপায় এই স্থানে সকলে সবান্ধবে মিলিয়া পরব্রহ্মের উপাসনা করিতে সমর্থ হইতেছি।”