পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

· saki setta তাহারাই অবগত আছেন মানুষ কিজান্য দলে দলে এইরূপ সাধু মহাজনগণের অনুগমন করে । এই বৎসর আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মকে নববিধান বলিয়া ঘোষণা করেন। গোস্বামী মহাশয়ের নিকট ঐ ব্যাখ্যা যুক্তিসঙ্গত বিবেচিত না হওয়াতে তিনি উহার প্রতিবাদ করিয়াছিলেন । কলিকাতা সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজ মন্দিরে ও ঢাকা পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজ মন্দিরে এ সম্বন্ধে তঁহার সুদীর্ঘ ও উদ্দীপনা পূর্ণ বক্তৃত হইয়াছিল। “ঈশ্বর আদেশেই , সত্য প্রচার করিতে হইবে, কিন্তু লোকের মুখ চাহিয়া নয়” এই মহম্ভাব তাহার পরিচালক না হইলে তিনি কখনও প্রতিবাদক্ষেত্রে সম্ভাব রক্ষা করিতে পারিতেন না । তিনি ঢাকা হইতে গিয়া অতঃপর সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের প্রচারক ও আচাৰ্য্যরূপে কলিকাতায় এবং বঙ্গদেশের নানাস্থানে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিতে লাগিলেন ; কলিকাতার নিকটস্থ কোন্নগর, হরিনাভি হইতে আরম্ভ করিয়া হাজারিবাগ, গয়া, বাকীপুর, মজঃফরপুর, মতিহারী, গাজীপুর, যমুনিয়া, প্রভৃতি নানা স্থানে গিয়া উপাসনা ও ধৰ্ম্মালোচনাদি করিতে লাগিলেন। এই বৎসরই তাহার চেষ্টায়। গয়াতে ব্ৰাহ্মসমাজের প্ৰতিষ্ঠা হয়। তঁহার কাৰ্য্য সম্বন্ধে গয়ার পত্রিপ্রেরক লিখিয়াছিলেন - “সৰ্ব্বজ্ঞ পুরুষের সুকৌশলে ঠিক উপযুক্ত সময়ে তিনি ( গোস্বামী মহাশয় ) গিয়াতে আহুত হইলেন । * * প্ৰায় প্ৰতিদিন সন্ধ্যার সময় বিষ্ণুপুরাণ, ভগবদগীতা, ভাগবত, উপনিষদ, আত্মপুরাণ, মহানিৰ্বাণতন্ত্র প্রভৃতি হিন্দুশাস্ত্ৰ হইতে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রতিপাদক সত্য সকল ব্যাখ্যাত হইতে লাগিল। দুই এক দিন শাস্ত্রপাঠ ও ব্যাখ্যা শুনিয়া যাহারা কখনও,ব্ৰাহ্মসমাজের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না। তাহারা গোস্বামী মহাশয়কে সবান্ধবে আহবান করিয়া নিজ বাড়ীতে শাস্ত্ৰপাঠ ও সংকীৰ্ত্তনাদি