পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ف:ه সৰ্পে দংশন করিয়াছিল, বাবাজি তিন দিবস অচেতন ছিলেন। চূেড়ান। পাইয়া বলিলেন ;-“নাগা বাবা কৃপা করিয়াছিলেন।” প্রশ্ন ;- অনন্তস্বরূপ নিরাকার ব্ৰহ্মকে কিরূপে লাভ করা যায় ? উত্তর ;- শনৈঃ শনৈঃ তঁাহাকে লাভ করিতে হয়, এক দিনে হয় না। প্ৰথমে নামে রুচি, তাহার পর ক্লামে অনুরাগ, তাহার পর নামে আনন্দ ; নামে আনন্দ হইলেই প্রেমের সঞ্চার হয়। প্রভুর কৃপাতেই তাহাকে লাভ করা যায় ।** ** তিনি কয়েক মাস পশ্চিমাঞ্চলে ঘুরিয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করেন, তৎপর একটী কন্যার কঠিন পীড়ার সংবাদ শুনিয়া কলিকাতা প্ৰত্যাগত হন। তঁহার এই কন্যাটী অল্পদিন মধ্যে পরলোক গমন করে । এই সময় তিনি কয়েক দিন কলিকাতা অবস্থান করিয়া সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজ মন্দিরে উপাসনার কাজ করেন ; এবং ভক্তি, পৌত্তলিকতা, উপবীত ও মহাপুরুষ সম্বন্ধে উপদেশ দেন। তৎপর অগ্রহায়ণ মাসে (১২৮৮ সন) জামালপুর ও বোয়ালিয়া ব্ৰাহ্মসমাজের উৎসবে গিয়া উপাসনা ও বক্তৃতা করেন। মাঘোৎসবের সময় ১১ই মাঘের প্রাতের উপাসনায় তাহাকে অনেক সময় আচাৰ্য্যের কাৰ্য্য করিতে হইত। একবার উৎসবে আচাৰ্য্যসহ উপাসকগণ ভাবে অত্যন্ত বিহবল হইয়াছিলেন । সে দিনের স্মৃতি অদ্যাপি অনেকের চিত্তে মুদ্রিত রহিয়াছে। ঐ দিন তিনি নিয়মিত উপাসনা। করিতে পারেন নাই ; মস্তকের উপর বাহু সঞ্চালন করিয়া “এই যে আমার মা” এইরূপ শব্দ অনেকক্ষণ ধরিয়া পুনঃ পুনঃ উচ্চৈঃস্বরে উচ্চারণ করিয়াছিলেন ; আর তৎসঙ্গে মন্দিরের অসংখ্য লোকের মধ্যে এক মহা ক্ৰন্দনের রোল উঠিয়াছিল। সংসারের ঘাত প্রতিঘাতে তিক্ত হইয়া যাহারা

  • তত্ত্বকৌমুদী ১৮০৩ শক। ১লা কাৰ্ত্তিক।