পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার । , ܗܵܘܮܵ ধ্বনি করিতেছেন। আর তঁাহার সঙ্গে শত শত উচ্ছসিত হৃদয় হইতে মা মা ধ্বনি বিনিস্থত হইয়া উপাসনা মন্দিরকে প্ৰতিধ্বনিত করিতেছে। সে দৃশ্য কখনও ভুলিব না। মর্ত্যে সেই যে কৈবল্যধাম দেখিয়াছি তাহা কখনও ভুলিব না।” এক বারের ১১ই মাঘের উৎসবের বিবরণে তত্ত্বকৌমুদী লিখিয়াছেন ;-“পণ্ডিত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী বেদীতে আরোহণ করিয়া উদ্বোধন আরম্ভ করিলেন । উদ্বোধন শেষ হইল, আরাধন। শেষ হইল, ধ্যানের সময় অতীত হইল, সমস্বরে প্রার্থনা হইয়া গেল, উপাসকদিগের মনে আর ধৈৰ্য্য ধরে না । অবশেষে উপদেশের সময় প্ৰাণ ফাটিয়া ক্ৰন্দনের রোল উঠিল । পাষাণ গালিয়া গেল, নরনারীর বক্ষঃস্থল অশ্রুজিলে ভাসিয়া চলিল ; সে দৃশ্য, সে স্বৰ্গীয় দৃশ্য কে বর্ণনা করিবে ? রমণীয় উদ্যানে একেবারে শত স্ফটিক ফোয়ারা উন্মুক্ত হইলে যে শোভা হয় আজ তাহাও ভক্তির শত প্রস্রবণের নিকট পরাজিত হইল । নরনারীর প্রাণ ভেদ করিয়া ভক্তি-বারি প্রবাহিত হইতে লাগিল। পাঠক আর নয়, সে দৃশ্য বৰ্ণনা করিবার প্রয়াস বৃথা, যদি সহৃদয় হও, কল্পনা-চক্ষে সে চিত্র অঙ্কিত করিয়া কথঞ্চিৎ বুঝিলেও বুঝিতে পার ।” ইহার পর তিনি বহরমপুর, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, রামপুরহাট, সিরাজগঞ্জ ব্ৰাহ্মসমাজের উৎসবে গমন করিয়া উপাসনা, বক্তৃতাদি করিয়াছিলেন। তঁহার কাৰ্য্যে ঐ সমস্ত স্থানে বিশেষ ধৰ্ম্মোৎসাহ জন্মিয়াছিল । পার বৎসর ( ১২৯৮ সন ) তিনি উত্তরবঙ্গে গমন করেন । তথাকার সৈন্দপুর ( রংপুর ) হইতে কোন পত্র-প্রেরক যাহা লিখিয়াছিলেন তাহা হইতে কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত হইল ;-“র্তাহার ( গোস্বামী মহাশয়ের) নিঃস্বার্থভাবে ধৰ্ম্মপ্রচার দেখিয়া নিতান্ত পাষাণ হৃদয়- যাহার ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম বিচার নাই-তাহার হৃদয়েও ধৰ্ম্মভাবের উদয় S 8 *