পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

7 茨*区司 ग्मिञ्छंन्न () তাহার ন্যায় নির্ভরশীল ধৰ্ম্মাত্মা প্রায় দেখিতে পাওয়া যায় নাg তিনি একবার প্রচারার্থে বডুবেলুন গিয়াছিলেন ; শ্ৰীযুক্ত কেদার পণ্ডিত মহাশয় সঙ্গে ছিলেন। কাৰ্য্যাবসানে গোঁসাইজী ব্যস্ত হইয়া কলিকাতা রওনা হইয়াছেন। কিন্তু গ্রামের পথ ও মাঠ হাটিয়া ষ্টেসনে আসিতে পথে যারপর নাই ক্লান্ত হইয়া পড়িলেন, ষ্টেসন পৰ্য্যন্ত আসিতে আর শক্তি রহিল না। তখন ঈশ্বরমুখীন হইয়া বলিতে লাগিলেন ;—“পণ্ডিত মহাশয় আর চলিতে পারি না, মা যদি এই গ্রামের সম্মুখে একখানা গাড়ীর বন্দোবস্ত না করেন তাহা হইলে আর ষ্টেসনে যাওয়া হইবে। না,’’ এই কথা বলিয়া কিছু দূর অগ্রসর হইতেই গ্রামের সম্মুখে একখানা গাড়ী দেখিতে পাইলেন । গাড়ীতে ষ্টেসনে যাইতে ও কয়েকজন দুঃখী লোককে কিছু কিছু দান করায় তাহার পয়সা সমস্ত ফুরাইয়া গেল, ট্ৰেণ ভাড়ার জন্য কিছুই রহিল না ; টিকিট ক্রয়ের কি হইবে ভাবিতে লাগিলেন । ইতিমধ্যে গোসাইজী বলিলেন - “পণ্ডিত মহাশয় মা আমাদের যা’বার ব্যবস্থা করিয়াছেন ; আমার কাপড়ে পাঁচটী টাকা বঁাধিয়া দিয়াছেন।” এই বলিয়া কাছার কাপড় হইতে পাঁচটা টাকা বাহির করিয়া বলিলেন -“কলিকাতা হইতে আসিবার সময় কালীশঙ্কর আগ্ৰহ করিয়া পাঁচটী টাকা কাছায় বাধিয়া দিয়া বলিয়াছিলেন ;—“সময়ে ইহা কাজে লাগিবে।” কিন্তু আমি ঐ টাকার কথা একেবারে ভুলিয়া গিয়াছিলাম। এখন হঠাৎ মনে পড়িল । কলিকাতায় আসিয়া কনিষ্ঠা কন্যাকে পীড়িত দেখিয়া বলিলেন - “পণ্ডিত মহাশয় মা’ই আমাকে তাড়াতাড়ি আনিয়াছেন। নতুবা এত তাড়াতাড়ি আসা হইত না ।” *

  • শ্ৰীযুক্ত আভরণচন্দ্র রায় কথিত ।