পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

338 মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। শাস্ত্রী মহাশয় আরও বলিয়াছেন ;-“বিজয় বাবু আমার সহাস্যায়ী ও বন্ধু। বন্ধুর প্রতি র্তাহার কিরূপ অনুরাগ ছিল তৎসম্বন্ধে একটা ঘটনার উল্লেখ করিতেছি । একবার তিনি আমাদের দেশের বাড়ীতে গিয়াছিলেন, কিন্তু আমি তথায় উপস্থিত ছিলাম না । তিনি আমাদের, বাড়ীতে গিয়া ‘এই আমার বন্ধুর গৃহ’ বলিতে বলিতে ভাবে এতদূর আত্মহারা হইয়াছিলেন যে সমস্ত উঠানে গড়াগড়ি দিয়াছিলেন ; এবং কঁাদিয়া কঁাদিয়া বন্ধুর প্রতি হৃদয়ের প্রগাঢ় অনুরোগের পরিচয় দিয়াছিলেন ?? আর একবার তঁাহার বন্ধু উমেশচন্দ্ৰ দত্ত মহাশয়ের মজিলপুরের বাড়ীতে গিয়া “এই আমার বন্ধুর গৃহ” বলিয়া উঠানের মাটি মাথায় তুলিয়া দিয়াছিলেন ।” 臀 একবার তিনি বহুদিন পরে জামালপুর ( মুঙ্গের ) তেঁাহার প্রাচীন বন্ধু ভক্ত অন্নদাপ্ৰসাদ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের গৃহে উপনীত হন। অন্নদা বাবু জ্বরে শয্যাগত ছিলেন। বন্ধুর দর্শনে গোসাইজীর প্রাণে ভাবের তরঙ্গ উঠিল, তিনি মত্ত হইয়া কীৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন। অবশেষে দুই বন্ধুতেই কীৰ্ত্তন নৃত্য আরম্ভ করিলেন, অসুস্থত কোথায় পলায়ন করিল, এবং প্ৰায় সমস্ত রজনী এই ভাবে কাটিয়া গেল । * একবার তিনি মজঃফরপুরে কতিপয় বন্ধুর সঙ্গে গণ্ডকী নদীতীরস্থ এক চড়াতে কোন সন্ন্যাসী বন্ধুর দর্শনে গমন করিয়াছিলেন। সাক্ষাৎ মাত্ৰ গোসাইজী সন্ন্যাসীর সঙ্গে কোলাকুলি করিলেন এবং ভাবের উচ্ছাসে দুই বন্ধুতে বহুক্ষণ নৃত্য করিলেন। আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের সঙ্গে তাহার প্রগাঢ় বন্ধুতা ছিল। গোঁসাইজী বলিয়াছেন ;- “আমরা তঁহাকে অত্যন্ত ভালবাসিতাম। সমস্ত শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। কথিত । س " ""------------------