পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রচারক জীৰন । R* g' ব্ৰাহ্ম অৰ্জ্জীবনের আদর্শ।’ ব্ৰাহ্মজীবন সম্বন্ধে তাহার আদর্শ অতি উন্নত ছিল। এজন্য ব্ৰাহ্মজীবনে কোন দোষ দুর্বলতা দেখিলে প্ৰাণে অত্যন্ত ক্লেশ অনুভব করিতেন। একদিন কলিকাতাস্থ গুরুপ্রসাদ চৌধুরীর লেনের সম্মুখে 'এক গাড়োয়ান ভাড়া লইয়া গোলযোগ করিয়া কুকথা বলায় কতিপয় ব্ৰাহ্ম ঐ গাড়োয়ানকে প্ৰহার করেন । ইহাতে র্তাহার মনে এত আঘাত লাগিয়াছিল যে এজন্য র্কাদিয়াছিলেন । একবার সিতির বাগানে ব্ৰহ্মোৎসবে খুব জমাট উপাসনা হয়। গোস্বামী মহাশয় উপাসনার কাজ করেন । উপাসনার পর রন্ধনের বিলম্বহেতু ক্ষুধিত উপাসকগণকে জল খাবার দেওয়া হইল। কিন্তু ঐ খাবার লইয়া অনেকে কড়াকড়ি করিলেন, এবং “আমি অধিক খাব।” এমন ব্যবহারের পরিচয় দিলেন। সরস উপাসনার পরই উপাসকগণ আহাৰ্য্য লইয়া এইরূপ ক্ষুদ্রতার পরিচয় দেওয়াতে গোসাইজীর মনে অত্যন্ত ক্লেশ হইল। তিনি আহার না করিয়া উপবাসী রহিলেন এবং নির্জনে ধ্যানচিন্তায় যাপন করিয়া অপরের অপরাধের জন্য প্ৰায়শ্চিত্ত করিলেন । e sਨੇ | প্রচারক জীবনে তিনি গভীর ধৰ্ম্মসাধনায় ব্ৰতী ছিলেন । পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় বলিয়াছেন ;--“আমরা কত সময় একত্ৰ সাধন ভজনে যাপন করিয়াছি। এক দিন ছাদে বসিয়া আলোচনা করিতে করিতে আমরা ধ্যানস্থ হইলাম। কোনদিক দিয়া সময় চলিয়া গেল। জ্ঞান রহিল না । অবশেষে তোপের শব্দে ধ্যান ভঙ্গ হইল ; কিন্তু তখন ভোর ৫ টা।” কত দিন এই ভাবে কাটিয়াছে কে বলিবে ? : শাস্ত্রী মহাশয় বলিয়াছেন ;—“একদিন আমরা উভয়ে কোন স্থানে