পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপাসনায় নিমন্ত্রিত হইয়াছিলাম ; তাহার উপর উপাসনার ভার ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের অনেকক্ষণ পূৰ্ব্বে তিনি ধ্যানে বসিয়াছিলেন। উৎপর যথা সময়ে তাহার ধ্যান ভঙ্গ না হওয়ায় আমি গিয়া উপাসনা করিয়া আসিলাম ; কিন্তু তিনি তখনও ধ্যানস্থ ছিলেন। তৎপর বহুক্ষণ পরে, ধ্যানভঙ্গ হইলে বলিলেন “কই উপাসনার সময় হয় নাই ? আমি বলিলাম ;- “আপনাকে ধ্যানস্থ দেখিয়া আমি যথা সময়ে উপাসনা করিয়া আসিয়াছি। সময় অনেকক্ষণ অতীত হইয়াছে।” তিনি বলিলেন, “তবে আমাকে ডাকিলেন না কেন ? শাস্ত্রী মহাশয় একদিন কথায় কথায় বলিয়াছিলেন ;---‘ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের মৌখিক প্রচার আর কি করিব, গোসাইজীকে একটি আসনে বসাইয়া দ্বারে দ্বারে দেখাইলেই ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের প্রচার হয়।” এই সময় তিনি সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের প্রচারক ও “শিরোমণি’ ছিলেন । যেখানে গোসাই সেইখানেই উৎসব, যে গৃহে তিনি সেই গৃহই সরস ; কি সহর, কি মফঃস্বল সকল স্থানের ব্ৰাহ্ম নরনারীগণের মনের আকর্ষণ র্তাহার लेिक छिल ।” একবার দুইটী বন্ধুর সহিত হিজলীকাখিতে প্রচারে গিয়াছিলেন । যখন কাঁথিতে উপস্থিত হইলেন তখন রজনীর ঘোর অন্ধকারে চতুদিক আচ্ছন্ন হইয়াছে, মেঘগৰ্জন ও বৃষ্টিপাত হইতেছে। তঁাহারা পথ হারাইয়া কোন গৃহস্থের বাড়ীতে গিয়া উঠিলেন। গৃহে একটী স্ত্রীলোক ছিল সে শব্দ পাইয়া উঠিয়া প্ৰদীপ জ্বালিল ; এবং অপরিচিত লোক দেখিয়া চুপ করিয়া রহিল। ইতিমধ্যে গৃহের পুরুষ আসিয়া ভঁাহাদিগের পরিচয় জিজ্ঞাসা করিল। তঁহারা বলিলেন আমরা পথিক, মাষ্টারের বাড়ী যাইতে পথ হারাইয়া এখানে আসিয়াছি। সে পথ দেখাইয়া দিল । অবশেষে তঁাহারা শুনিতে পাইলেন। ঐ ব্যক্তি একজন বিখ্যাত