পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসিয়া উপাসনা করিতাম। একদিন ধ্যানের সময় আমি হঠাৎ চক্ষু খুলিয়া দেখি তিনি কঁাদিয়া অধীর হইয়াছেন, এবং ক্রমাগত ਕਲ গড়াগড়ি দিতেছেন। তাহার তৎকালের কাতরতা দর্শনে আমার মনে হইয়াছিল ইনিই যথার্থ ধৰ্ম্মাৰ্থ ।” “অপর একদিন তিনি কোন নিজজন স্থানে সমস্ত দিন উপাসনায় যাপন করেন, কিন্তু তথাপি শুষ্কতা দূর হইল না। অবশেষে দিনান্তে শুল্কমুখে দারুণ ক্লেশসহকারে গৃহে ফিরিবার সময় কোন বেশ্য বাড়ীতে উচ্ছাসপূর্ণ কীৰ্ত্তন শুনিয়া তথায় বসিয়া পড়িলেন ; এবং রাত্রি দুই প্রহর। পৰ্য্যন্ত ধ্যানস্থ থাকিয়া সরাসচিত্তে গৃহে ফিরিলেন।” বরিশালের ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারক শ্ৰীযুক্ত কালীমোহন দাস মহাশয় বলিয়াছেন ;—“একদিন কথাপ্রসঙ্গে গোসাইজী আমাকে জিজ্ঞাসা করেন ‘ব্রাহ্মসমাজের ছেলেরা নাকি কাহাকেও মান্য করে না ? কিন্তু যাহারা এই ব্ৰাহ্মসমাজরূপ অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। তঁহাদিগকে বহু ক্লেশ সহ্য করিতে হইয়াছে। এমন কি মাটি খাইয়া জীবনধারণ করিতে হইয়াছে। এখন ত ইহারা নিৰ্ম্মিত গৃহে আসিয়াছেন।” এই কথা বলিতে বলিতে গোসাইজী কাদিয়া আমার পায়ে পড়িলেন। এবং পুনঃ পুনঃ বলিতে লাগিলেন ‘আপনার আশীৰ্ব্বাদ করুন যেন আমি গুরুজনদিগকে মান্য করিতে পারি ।” তিনি আরও বলিয়াছেন ;-“গোসাইজীকে ধৰ্ম্মের জন্য যেরূপ ব্যাকুল দেখিয়াছি সেরূপ প্রায় দেখা যায় মা। এক সময়ে ঈশ্বর দর্শন সম্বন্ধে আমার মনে গভীর প্রশ্নের উদয় হইলে তঁহাকে জিজ্ঞাসা করি, তিনি বলিলেন ;—“এ প্রশ্ন বড় কঠিন ; কিরূপে সকল অভাব দূর হয়, এই প্রশ্নই লোকে জিজ্ঞাসা করে, কিন্তু দর্শন সম্বন্ধে কেহ প্রশ্ন করেন। না। এই ব্ৰহ্ম দৰ্শন অতীব সত্য; আর ইহা ব্যতীত ধৰ্ম্মজীবনের কোন