পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RRV) . মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । “পবিত্র স্বরূপ পরমেশ্বরকে লাভ করিয়া জীবন সার্থক করিবার উদ্দেশ্যে ব্ৰাহ্মসমাজে প্রথম আসি। তথায় করুণাময়ের রূপায় অনেক। সত্য ও প্রভূত উপকার লাভ করিয়া ধন্য হইলাম। আমার অল্প শক্তিতে যে পরিমাণ সম্ভব তিনি আমাকে পরিশ্রম করাইয়াও লইলেন। তঁহার ও তঁহার সন্তানগণের সেবায় জীবন ধন্য হইল। ক্ৰমে অনেক বিপদ আপদ উত্তীর্ণ হইয়া বিস্তর সত্য লাভে সমর্থ হইলাম । উপাসনা, প্রার্থনা, ধ্যান, ধারণাদি করিতে শিখিলাম, এক কথায় বলিতে গেলে ব্ৰাহ্মসমাজের আশ্রয়ে নবজীবন লাভ করিয়া উদ্ধার হইয়া গেলাম । কিন্তু আমার প্রাণের পিপাসা তাহাতেও মিটিল না ; কারণ তখনও আমার প্রাণের প্ৰিয়তম দেবতাকে নিয়ত হৃদয়ের মধ্যে বসাইয়া পুজা, করিতে পারিতাম না। উপাসনাসময়ে অনেক সময় তাহার জাগ্রত জীবন্ত আবির্ভাব উপলব্ধি করিয়া চরিতার্থ হইতাম ; প্ৰাণে অভূতপূর্ব আনন্দ, আশা ও শান্তি উপভোগ করিতাম সত্য, কিন্তু কেন জানি না এই অবস্থা দীর্ঘকাল স্থায়ী হইত না । অনেক সময়ই র্তাহ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া কাটাইতে হইত। ; এবং তখন অত্যন্ত ক্লেশ হইত। তখন নানাস্থানে ঐ ঔষধির অন্বেষণে ফিরিতে আরম্ভ করিলাম । কৰ্ত্তাভজা সম্প্রদায়ের মধ্যে কয়েকজন শ্ৰদ্ধেয় ধৰ্ম্মবন্ধুর সহবাসে প্ৰাণায়াম শিক্ষা করিলাম ও তাহদের নিকট বিস্তর ধৰ্ম্মকথা ও অনেক উপকার পাইলাম, ; কিন্তু তাহাও আমার প্রাণের আকাঙ্ক্ষা চরিতাৰ্থ করিতে পারিল না । আমার অন্তরের বস্তু সেখানেও পাইলাম না । তখন নানা স্থানে ভ্ৰমণ করিলাম। অঘোরপন্থীদের কাছে গেলাম ; তঁাহার সাধক বটেন, কিন্তু তঁহাদের নরমাংসাহার ও অন্যান্য বীভৎস ব্যাপারে আমার রুচি হইল না। কাপালিকদিগের ব্যবহার , আরও ভয়াবহ দেখিলাম। রামাৎ, শাক্ত, বৈষ্ণব, বাউল, দরবেশ, মুসলমান