পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গয়ায় ব্ৰাহ্মাধৰ্ম্ম প্রচার । Rirse রক্ষিত প্রভৃতি তথায় স্থায়ীরূপে প্রচারের উদ্দেশ্যে আমাদের জন্য স্বতন্ত্র বাড়ী ভাড়া করিয়াছিলেন ; কিন্তু আমরা গোবিন্দ বাবুর গৃহে স্থান গ্ৰহণ করিয়াছিলাম। আমাদের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ সংগ্রহের আয়োজন, সামাজিক উপাসনাদির বন্দোবস্ত প্ৰভৃতি উপায়ে তথায় ব্ৰাহ্মসমাজের কাজের কিছু কিছু আরম্ভ হইয়াছিল; কিন্তু তঁাহারা যেরূপ কাৰ্য্যের আশা করিয়াছিলেন, অল্প দিন মধ্যে বুঝিতে পারিলেন, গোস্বামী মহাশয়ের সাহায্যে সেরূপ ব্যবস্থা হওয়া সম্প্রতি সম্ভবপর নহে। গোবিন্দ বাবুর গৃহে ছাদের উপর প্রতিদিন সায়ংকালে ধৰ্ম্ম সাধন বিষয়ে আলোচনা হইত ; গোসাইজী আলোচনা করিতে করিতে ধ্যানে ডুবিয়া যাইতেন ; অধিক কথা বলিতে পারিতেন না। উপাসন। সময়েও তাহার ধ্যানে দুই তিন ঘণ্টা অতিবাহিত হইত ; কিন্তু সাধারণ উপাসকগণের পক্ষে এত অধিক সময় ধ্যানে বসিয়া থাকা প্রীতিকর হইত না । ইতিমধ্যে একদিন কথাপ্রসঙ্গে গোবিন্দ বাবু আকাশগঙ্গা পাহাড়ের বাবাজির অত্যন্ত প্ৰশংসা করিয়া বলিলেন ;-“ঐ বাবাজির নিকট গমন করিলে সাধন সম্বন্ধে অনেক উপদেশ পাওয়া যাইতে পারে, গোস্বামী মহাশয় বাবাজির নাম শুনিয়া তাহার দর্শনের জন্য ব্যগ্ৰতা প্ৰকাশ করিলেন ; এবং পর দিবস আমাকে লইয়া আকাশগঙ্গা পাহাড়ে যাত্ৰা করিলেন । অশীতিপর বৃদ্ধ ঐ বাবাজি আমাদিগকে দূর হইতে দেখিয়া গাত্ৰোখান করিলেন। তঁহার দীর্ঘসবল দেহ ও সৌম্য মূৰ্ত্তি দেখিয়া সহজেই আমাদের মন আকৃষ্ট হইল ; গোসাইজী তাহার দর্শন মাত্র দূর হইতে বালকের ন্যায় কাদিয়া গিয়া তাহার পায়ে পড়িলেন ; এবং বলিতে লাগিলেন ;—“আমি নিতান্ত অজ্ঞান কিছুই জানিনা, আমাকে ধৰ্ম্মশিক্ষা দিন, আমাকে ভক্তির পথ প্ৰদৰ্শন করুন।”