পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RWPR মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । জন্য সাধন কুটীর বিশেষ আবশ্যক ; আমি পাহাড়ের উপরিস্থ আমার ঐ সাধন কুটার তোমাকে ছাড়িয়া দিতেছি, তুমি এখানে অবস্থান কঁরিয়া সাধন ভজন কর।” পাহাড়ে ব্যাস্ত্ৰাদি হিংস্ৰ জন্তুর ভয় ছিল, গোবিন্দ বাবু এজন্য অনেক সময় তাহাকে সাবধান করিতেন ; কিন্তু তিনি যেরূপ - ভাৰে বিচরণ করিতেন তাহাতে বিন্দুমাত্ৰ ভয়ের চিহ্ন পরিলক্ষিত হইত না । ইহার পর আমরা প্ৰায়ই আকাশগঙ্গা . যাইতাম । একদিন আমাকে বলিলেন ;—“শাঁশি, তুমি ফিরিয়া যাও, আমি এখানেই থাকি।” কিন্তু আমি একাকী আসিতে সাহসী না হওয়ায় আমিও রহিলাম । আমাকে লাডছু খাইতে দেওয়া হইল, উহাতেই আমার উদর পূর্ণ হইল । একদিন অপরাহ্নে আমরা কোন জঙ্গলের পার্শ্বে বসিয়া রহিয়াছি, গোঁসাইজী প্রসঙ্গক্রমে সাধু অঘোরনাথের কথা উত্থাপন করিয়া বালকের ন্যায় কাদিতে কাদিতে বলিতে লাগিলেন ;--“আঘোরের সঙ্গে কথা হইয়াছিল যে আমরা দুই ভাই মিলিয়া ভারতের সর্বত্র ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিব । কিন্তু হয় তাহ হইল না, অঘোর আমাকে একাকী ফেলিয়া চলিয়া গেলেন।” তারপর বলিলেন ;-“শাঁশি, আমি আজ সমস্ত রাত্রি জাগিয়া থাকিব, তুমি আমার পার্শ্বে ঘুমাইয়া থাক।” এই বলিয়া তাহার গাত্র বস্ত্ৰদ্বারা আমাকে উপাধান করিয়া দিলেন । শিশু যেমন মাতৃপার্শ্বে নিৰ্ভয়ে নিশাযাপন করে আমি তাহার পাশ্বে তেমনি ভাবে নিশাযাপন করিলাম। আর এই জীবন্মুক্ত সাধুপুরুষ ব্যাস্ত্ৰাদি-শ্বাপদ-সকুল সেই ভীষণ অরণ্যের পার্শ্বে সমস্ত রজনী অটলভাবে, ভয়-উদ্বেগ-বিহীন হইয়া ব্ৰহ্মধ্যানে অতিবাহিত করিলেন ; দেখিয়া বোধ হইল শীত বাত এবং হিংস্ৰ জন্তুর কোন প্ৰকার ভয় তাহার ছিল না । রাত্রিশেষে ব্ৰাহ্মমুহূৰ্ত্তে পুনরায় আমাকে উঠাইলে, , ; আমরা নিঝর বারিক্তে স্নান করিয়া নির্জন গুহাপ্ৰান্তে বসিয়া ব্ৰহ্মোপাসনা করিলাম। র্তাহার সেই