পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশগঙ্গা পাহাড়ে । ২৩৩ সময়ের প্রাণস্পশাঁ উপাসনার স্মৃতি আমি অন্যাপি বিশ্বত হইতে পারি নাই। এইদিন উপাসনার সময়ে খুব বড় একটী সাপ তাহার গলায় উঠিয়াছিল। কিন্তু কোন অনিষ্ট করে নাই, আপনা হইতেই নামিয়া গিয়াছিল ; আর তঁহাতেও কোনরূপ ভীতির চিহ্ন দৃষ্ট হয় নাই। তাহার ভক্তি দুনুরাগে যেন হিংস্ৰ জন্তুগুলিও মন্ত্ৰমুগ্ধ হইয়া যাইত ; তাহাদের হিংসাবৃত্তি ক্ষণকালের জন্য বিলুপ্ত হইত। ইহার পর একদিন আমাকে বলিলেন ;-“শশি। আমি আর কলকাতায় যা’ব না, তুমি ফিরে যাও ।” এই কথা বার বার বলিতে লাগিলেন । আমি তাহার ভাব দেখিয়া অবাক হইয়া রহিলাম। গয়ার পথে যুবক নিমাইর পরিবর্তন হইলে বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে সঙ্গিগণকে বলিয়াছিলেন ;-তোমরা গৃহে ফিরিয়া যাও আমি আর সংসারে যা’ব না। আমি প্ৰাণেশ্বরকে দেখিতে মথুরায় চলিলাম।” ইনিও যেন তেমনি গয়ার নির্জনতার মধ্যে ডুবিয়া সমগ্ৰমনে ব্ৰহ্মসাধনায় নিযুক্ত হওয়ার আশায় তথায় চিরবাসস্থান করিতে ইচ্ছা করিতেছেন ; আর পুনঃ পুনঃ বলিতেছেন ;- “আমি আর কলকাতায় যা’ব না ।” কলিকাতায় র্তাহার পুত্ৰ কন্যা আত্মীয়স্বজন ? বন্ধুবান্ধব সমস্ত রহিয়াছেন ; কিন্তু তঁহাদের প্রতি যেন তঁাহার কোনরূপ মায়া নাই । কলিকাতা পরিত্যাগ অবধি একবারও তীহাদের বিষয় উল্লেখ না করায় মনে হয়। তঁহাদের সম্বন্ধে তাহার কোন চিন্তাই ছিল না । একদিন আকাশগঙ্গা হইতে আসিবার সময় পথে করষোড়ে কাদিতে কাদিতে প্রার্থনা করিতে লাগিলেন ;- “প্ৰভু, আমায় স্বতন্ত্র, কুটীর দাও ; , স্বতন্ত্র কুটির ন। হইলে আর আমার চলে না ।” অবশেষে গোবিন্দ বাবু প্ৰভৃতি তাহাঁর জন্য স্বতন্ত্র কুটীর নিৰ্ম্মাণে মনোযোগী হইয়াছিলেন । একদিন আমরা বুদ্ধগয়ায় গিয়াছিলাম। বুদ্ধের সাধনক্ষেত্র, নিরঞ্জন।