পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৪ মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । নদী ইত্যাদি দেখাইয়া তিনি আমার নিকট শাক্যমুনির গুণ কীৰ্ত্তন করিলেন ; এবং অবশেষে নিরঞ্জনাতীরে গভীর ধ্যানে মগ্ন श्न अबस्छ ' দিবস যাপন করিলেন । আমরা মধ্যাহে আহাৰ্য্য প্ৰস্তুত করিয়া তাহার জন্য বহুক্ষণ অপেক্ষা করিলাম ; কিন্তু ধ্যান ভঙ্গ না হওয়ায় । তিনি , সূৰ্য্যাস্তের পূর্বে গৃহে ফিরিলেন না। ইহার পর তিনি একাকী আকাশ গঙ্গায় যাইতেন ; এবং আর কলিকাতায় ফিরিবেন না স্থির করিলে আমি শাস্ত্রী মহাশয়ের অভিপ্ৰায় অনুসারে একাকী কলিকাতায় চলিয়া আসি। অবশেষে তঁাহার পুত্ৰকন্যাগণ তাহাকে কলিকাতা ফিরাইয়া আনেন । এত যে সাধনশীলতা তাহার মধ্যেও তাহার অপরিসীম স্নেহ সর্বদা আমাকে আবেষ্টন করিয়া রাখিয়াছিল। আমি মনে করিতাম যেন মাতৃস্নেহ ভোগ করিতেছি। শাস্ত্রী মহাশয় একদিন কথাপ্রসঙ্গে বলিয়াছিলেন;-—“বিজয় বাবুর আঙ্গুল চুষিলেও ভক্তি হয়” এবং “তিনি ধৰ্ম্মার্থে দ্বিতলের ছাদ হইতেও লম্ফদিয়া পড়িতে পারেন।” গয়াতে কিছুদিন একত্র বাস করিয়া দেখিয়াছি ধৰ্ম্মের জন্য ইহার অসাধ্য কিছুই ছিল না। এইরূপ লোকের জন্মধারণে প্রকৃতই বসুন্ধরা পুণ্যবতী হয় ।” আমরা শুনিয়াছি ;-আকাশগঙ্গা পাহাড়ের বাবাজির আশ্রমে একজন ব্ৰহ্মচারীর সঙ্গে তাহার অত্যন্ত প্ৰণয় জন্মিায়াছিল ; এবং ইহার সঙ্গে কিছুদিন একত্ৰ নিৰ্জনসাধনে কাটাইয়াছিলেন । গোস্বামী মহাশয় একদিন উপাসনান্তে উক্ত বাবাজির আশ্রমে তাহার ব্ৰহ্মচারী বন্ধুর সহিত বসিয়া রহিয়াছেন এমন সময়ে রাখালের তাহাকে পাহাড়ের উপরিস্থ এক সাধুর আগমন সংবাদ দিল। তখন তিনি কিছু সেবার বস্তু লইয়া ঐ পাহাড়ে সাধুদর্শনে গমন করিলেন । গিয়া দেখিলেন তথায় দিব্যকাস্তি, দিব্যলাবণ্যযুক্ত একজন মহাপুরুষ