পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dò o মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ, গোস্বামী । তার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন তাহারও দেহ-ত্যাগ ঘটে । সুক্তরাং - গর্ভ-ধারিণীর হস্তেই বালক বিজয়কৃষ্ণের সমস্ত ভার পুনন্যস্ত হইল। র্তাহাঁর গর্ভ-ধারিণী শিষ্য-বাড়ী ভ্ৰমণ করিয়া যাহা কিছু পাইকেন তদ্বারাই কোন প্রকারে তাহদের জীবিকা-নির্বাহ হইত। এইরূপে নানা অবস্থার মধ্যদিয়া বালকের বয়স বৃদ্ধি হইতে লাগিল ;. এবং যথাসময়ে তাহার পাঠশালার শিক্ষা আরম্ভ হইল । শৈশবে এই বালকের স্বভাবে চঞ্চলতা ও একগুয়োমী দেখা গিয়াছিল। ‘একবার কোন বিষয় ধরিলে কাহারও সাধ্য ছিল না উহ। হইতে র্তাহাকে নিরস্ত করে। গ্ৰন্থারম্ভে যে ক্ষণ-জন্ম মহাপুরুষের নাম উল্লিখিত হইয়াছে বাল্যকালে তিনি কিরূপ চঞ্চল, দৌরাত্ম্যপরায়ণ ও একগুয়ে ছিলেন তাহ। বৈষ্ণব-গ্ৰন্থ পাঠকের অবিদিত নাই । কিন্তু সরলতা ও মাধুৰ্য্যে তিনি বাল্যেই তাঁদেশবাসী পুরুষনারী সকলের প্রীতি আকর্ষণে সমর্থ হন । বালক বিজয়কৃষ্ণের চরিত্রেও শৈশব-চঞ্চলতার সঙ্গে এক অপূৰ্ব্ব কোমল ভাব, সরলত। ও স্বৰ্গীয় মাধুৰ্য্য জড়িত ছিল, এবং “উহাই তাহাকে সৰ্ব্বত্র সমাদৃত ও সস্নেহে অভ্যার্থিত করিয়াছিল । মহাপুরুষদের জীবনে দেখা গিয়াছে, তাহদের শৈশব স্বভাবের একগুয়োমী ভবিষ্যজীবনে স্বাধীন চিন্তার স্থান অধিকার করিয়া। র্তাহাদের জীবনকে পরিচালিত করিয়াছে । বালক বিজয়কৃষ্ণ চঞ্চল ও একগুয়ে ছিলেন ; কিন্তু যৌবনে তঁহাতে কোন চঞ্চলতা দৃষ্ট হয় নাই, তখন তিনি গাম্ভীৰ্য্যে পূর্ণ এবং স্বাধীনভাবে একান্ত তেজীয়ান হইয়াছিলেন । এই স্বাধীন ভাবের জন্যই তিনি জীবনের আরম্ভ হইতে শেষ পৰ্য্যন্ত যখন যাহা ধরিয়াছেন তাহা হইতে কেহ। দুষ্ঠাহাকে বিচলিত করিতে পারে নাই ।