পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । পরমহংস। তঁহাকে লক্ষ্যকারিয়া বলিলেন ;-“বিজয় তুমি কি • বাস। পাকড়েছ ? দেখ দুইজন সাধু ভ্ৰমণ করতে করতে একটী সহরে এসে পড়ে’ছিল। একজন হঁ।া করে” সহরের বাজার, দোকান, বাড়ী দেখা ছিল, এমন সময় অপরটীর সঙ্গে দেখা হ’ল। তখন সে সাধুটী বল্পে, তুমি যে হঁ ক’রে সহর দেখছি তালাপী তল্প! কোথায় ? প্ৰথম সাধুটী, বল্লে, আমি আগে বাসা পাকড়ে তল্পী তল্পা রেখে ঘরে চাবি দিয়ে। নিশ্চিন্ত হ’য়ে বেরিয়েছি। এখন সহরে রং দেখে বেড়াচ্ছি। তাই তোমায় জিজ্ঞাসা কচিছ, তুমি কি বাসা পাকড়েছ ? (মাষ্টারের প্রতি ) দেখ, বিজয়ের এতদিন ফোয়ার চাপা ছিল এইবার খুলে গেছে।” * গোস্বামী মহাশয় পরমহংসের অত্যন্ত প্ৰিয়পাত্র ছিলেন । যিনি যে ভাবের ভাবুক সেই ভাবের ভাবুকের নিকট তাহার সমাদর হইবে ইহাতে আশ্চৰ্য্যের বিষয় কিছুই নাই । গোস্বামী মহাশয় গয়া হইতে ফিরিয়া আসিয়া পুনরায় প্রচার কাৰ্য্যে ব্ৰতী হইয়া নানা স্থানে গমন করিতে লাগিলেন ; এবং অবশেষে ঢাকায় উপস্থিত হইলেন। র্তাহার পুনরাগমনে পূৰ্ব্ববাঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজের উপাসকগণ অত্যন্ত উৎফুল্ল ও উৎসাহান্বিত হইলেন । তিনি ঢাকায় গিয়া পূৰ্ব্ববাঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজ মন্দিরে প্রকৃত উপাসনা, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম কি, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের মত ও বিশ্বাস, জ্ঞান ভক্তি ও কৰ্ম্মের সামঞ্জস্য ও জীবনের দায়িত্ব সম্বন্ধে বক্তৃতা করেন ; এবং ব্ৰাহ্মদিগের কৰ্ত্তব্য, ব্ৰাহ্মদিগের প্ৰতি নিবেদন ও সামাজিক শাসন নামে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কয়েকখানি পুস্তকা প্ৰকাশ করেন ; এবং ছাত্রসমাজের ভার গ্ৰহণ করিয়া বক্তৃতা, পাঠ, আলোচনাদি দ্বারা ছাত্ৰগণের মধ্যে নীতি ও ধৰ্ম্মোন্নতির চেষ্টায় নিযুক্ত হন ।

  • খ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত।