পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার । २8* হইবে ; পরম্পরের পরিবার একত্ৰ করিয়া পবিত্র পারিবারিক সম্বন্ধ নিবদ্ধ করিতে যত্নশীল থাকিতে হইবে ; শ্ৰাতাদিগের মধ্যে কাহারও কোন দোষ দেখিলে গোপনে জ্ঞাপন করিতে হইবে ; এবং দোষী ভ্ৰাতা জ্ঞাত দোষ সংশোধন করিবেন ; ভ্রাতাদিগের মধ্যে কেহই পৌত্তলিকতার সহিত যোগ এবং তাহাতে কোন প্রকারে উৎসাহ । দান করিতে পরিবেন না ; প্ৰত্যেক ভ্ৰাতা স্ব স্ব জীবন দ্বারা ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিবেন। একমাত্র অদ্বিতীয় পূর্ণ মঙ্গলস্বরূপ পরমেশ্বর আমাদিগের একমাত্ৰ লক্ষ্য ; তঁহার চরণ সেবাই প্ৰকৃত জীবন, তাহার আদেশ ভিন্ন কোন কাৰ্য্য করিবে না ; তাহার আদিষ্ট কাৰ্য্য সাধনে সমুদায় সংসার বন্ধুবান্ধব বিপক্ষ, শরীর নিপাত এবং সাংসারিক ধন সম্পত্তি বিনষ্ট হইলে ও বিরত হইবে না । এই নিয়মাবলী প্ৰতিদিন পাঠ করিয়া আত্মানুসন্ধান করিতে হইবে । ১২৯১ সনে ঢাকার অন্যতম জমিদার শ্ৰীযুক্ত প্ৰতাপচন্দ্ৰ দাস মহাশয় তাহার স্বৰ্গীয় পিতার স্মরণার্থ পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজের সংলগ্ন রাজচন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মপ্রচারক নিবাস নিৰ্ম্মাণ করেন । অতঃপর গোস্বামী মহাশয়, সপরিবারে উক্ত গৃহে অবস্থান করিয়া ঢাকাস্থ উপাসকমণ্ডলীর ও জনসাধারণের ধৰ্ম্মোন্নতি সাধনে ব্ৰতী হইলেন। কিন্তু তিনি সর্বদা ঢাকাতে স্থির হইয়া থাকিতেন না, প্রচারার্থে নানাস্থানে গমন করি।- তেন । তঁহার প্রচার ধৰ্ম্মসাধনেরই অঙ্গীভূত ছিল, এজন্য প্রচারের কখনও বিরাম ছিল না। তঁহার প্রচার ক্ষেত্ৰ সীমাবদ্ধ ছিল না, যেমন ঢাকার নিকটস্থ বিক্রমপুরের নানাস্থানে গ্রামে যাইতেন তেমনি দুরন্থ পশ্চিম বঙ্গের নানাস্থানেও গমন করিতেন । এইরূপ অজস্র ধৰ্ম্মসাধনার মধ্যেও বর্তাহার জীবনে একবার ঘোর শুষ্কতার উদয় হইয়াছিল। ইহাতেই বোধ হইবে ধৰ্ম্ম যেমন সাধন ولا چ