পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্ম-বাল্যজীবৃন ও শিক্ষা। כ כ র্তাহার বাল-সুলভ চপলতার সঙ্গে কোনরূপ কপটতা বা অসদবুদ্ধি ছিল না । শুনা গিয়াছে বাল্যকালে ইহার ঘোড়া চড়িবার • সখ অত্যন্ত অধিক ছিল, এজন্য একবার সহচর বালক-দলের সঙ্গে মিলিত হইয়া কোন ডেপুটী মাজিষ্ট্রেটের আস্তাবল হইতে না বলিয়া ঘোড়া, লইয়া গিয়া ঘোড়া দৌড়াইয়া ছিলেন । অবশেষে যখন ধরা পড়িকার সম্ভাবনা উপস্থিত হইল, অপরাপর বালক পলায়ন করিল, তখন তিনি নিৰ্ভীকচিত্তে ক্ৰটী স্বীকার করিলেন ; এবং ঘোড়া চড়িবার সখ মিটাইতে গিয়াই যে এইরূপ কাজ করিয়াছেন তাহাও প্ৰকাশ করিলেন। র্তাহার এই স্বীকারোক্তিতে সাহস, সত্যবাদিত ও সরল স্বভাবের পরিচয় পাইয়। উক্ত ডেপুটী মহোদয়ও অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয়াছিলেন, কোন রূপ তিরস্কার করেন নাই । তাহার বাল্যজীবনের এই নিভীক সত্যপ্রিয়তা দিন দিন তাহার চরিত্রকে অপূৰ্ব্বভাবে অলঙ্কত করিয়াছিল । বাল্যকালেই তাহার স্বভাবে এই দেখা গিয়াছিল যে পায়রা, কুকুর, বিড়াল, পাখী ইত্যাদি ইতর-প্রাণিদিগকে খাওয়াইতে তিনি অত্যন্ত ভালবাসিতেন। সময়ে সময়ে ধামাতে করিয়া প্রচুর ধান্য পাখী দিগকে খাইতে দিতেন । তঁহার যে দয়াশীলতা শেষ-জীবনে তাহাকে মহা-দানব্ৰতে দীক্ষিত করিয়াছিল, বল্যে তাহ এইরূপে ইত্যর জীবের সেবায় চরিতার্থ হয় । ইহার বয়স যখন সাত আট বৎসর তখন তিনি একবার তাহার জননীর সঙ্গে এক জমিদার শিষ্যের বাড়ী গিয়াছিলেন । ঐ ব্যক্তিএক দরিদ্র কৃষকের প্রতি ভয়ানক অত্যাচার করে। তাহ দেখিয়া; বালক বিজয়কৃষ্ণ চীৎকার করিয়া কাদিয়াছিলেন। আঁহার এই পর-দুঃখ-কাতরতার ক্রমেই বৃদ্ধি হইয়াছিল ।