পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R6ło মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ... “কোন সৃষ্ট বস্তু বা জীব বা মনুস্যকে বিশ্বনিয়ন্ত সৰ্ব্বশক্তিমান পরমেশ্বর জ্ঞানে পূজা করার নাম অবতারবাদ। উহা সত্যের ीिद्वारौँ এজন্য আমার ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের সঙ্গে উহার কোন সংশ্ৰব নাই। পূর্বোক্ত সাধনের নিয়মগুলি এককালে বিলুপ্ত না হইলে এ সাধনের মধ্যে, অবতারবাদ আসিতে পারে না ।” “অপূর্ণ মনুস্যকে, তাহার উপদেশকে অথবা তল্লিখিত শাস্ত্ৰকে অভ্ৰান্ত মনে করিয়া ইহাদের সম্মুখে নিজের বিবেককে, হীন ও অবরোধ করার নাম গুরুবাদ । এই ভয়ানক মত আমাদের নিয়মের যারপর নাই বিপরীত । বিবেকই ঈশ্বর লাভের প্রকৃত পথ, এজন্য আপনার বিবেকই মানবের সর্বোপরি অনুসরণীয়। যেখানে কাহারও উপদেশ আমার বিবেকের বিরুদ্ধ হইলেও তাহা আমাক অনুসরণীয় বলিয়া ধরা হয় সেখানেই গুরুবাদ আসে। ঈশ্বরের ও মানবাত্মার মধ্যে একটা ଧୃଷ୍ଯା পৰ্য্যন্তও যতক্ষণ ব্যবধান থাকিবে অর্থাৎ যতক্ষণ তদ্ব্যতীত কোন বস্তু বা ব্যক্তি বা প্ৰণালীকে উপায় জ্ঞানে অবলম্বন করা হইবে ততক্ষণ এই সাধন পরিণত হইতে পারে না । সুতরাং গুরুবাদ যোগের বিনাশক ।” “এই সাধন দিবার অধিকার কোন ব্যক্তিবিশেষে নিবদ্ধ হইতে পারে না । ভগবানের সত্যধৰ্ম্ম যিনি যে পরিমাণে প্ৰাণে লাভ করিবেন। তাহার সেই পরিমাণে পরোপকার করিবার শক্তি জন্মে । কিন্তু অন্যের ধৰ্ম্ম-চক্ষু খুলিয়া দিতে, অন্যের যোগশক্তি প্ৰস্ফুটিত করিয়া দিতে যে শক্তি আবশ্যক, সেই শক্তি যিনি লাভ করেন নাই, তিনি কখনও এই সাধনে অপরকে দীক্ষিত করিতে অধিকারী নহেন । যোগ্যপথের চারিটীি অবস্থা বর্ণিত আছে ; ( ১ ) প্ৰবৰ্ত্তক ( ২ ) সাধক (৩) যুঞ্জন ( 8 ) যুক্তসিদ্ধ। প্ৰবৰ্ত্তক অৱস্থার মধ্যে ধৰ্ম্মের প্রাথমিক কয়েকটা ভাবমাত্র উন্মেষিত হয় ; যথা দীনতা, বৈরাগ্য, প্ৰেম, পবিত্ৰতা ।