পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રેલર মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । জন্য ব্যাকুল হইয়া তাহারই নিকট প্রার্থনা করিবে, সেই মুক্তিলাভ করিবে। র্তাহার, ধৰ্ম্ম লাভের জন্য যে উপায় শ্ৰেয় তাহা তিনিই তাহার সম্মুখে আনিয়া দিবেন। তাহার উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়া চলা আবশ্যক ; এমন কি আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীর পাপীতাপী যাবতীয় নরনারীই মুক্তির অধিকারী । ইহলোকে যদি না হয় পরলোকে অনন্তকালে প্রত্যেক মানবাত্মা পূর্ণতারদিকে চলিবেই চলিবে। ইহলোকেও পাপ প্ৰভৃতি সমস্তই তাহার আত্মার মধ্যে চরমে মঙ্গল ভিন্ন অন্য কিছুই প্রসব করে না।” “যোগে আলস্য আনে না ; বরং ঠিক তার বিপরীত। জ্ঞান, প্ৰেম ও কৰ্ম্ম এই তিনের এককালীন সমঞ্জসীভূত উন্নতিই যোগের ফল। পরমেশ্বর রসস্বরূপ । রস যেমন উদ্ভিদের দেহ মধ্যে প্ৰবিষ্ট হইয়া এককালে তাহার মুলকাণ্ড শাখা প্রশাখা ও পত্র সর্বত্র সমভাবে জীবন সঞ্চারিত করে, মানবাত্মায় পরমাত্মার আবির্ভাব হইলেও সেইরূপ তাহার সমস্ত ভাব একসঙ্গে সমভাবে বদ্ধিত হইতে থাকে। আংশিক উন্নতি ইহার বিরোধী। তিনি পূর্ণ ; সেই পূর্ণ-আদর্শ প্ৰাণে অবতীর্ণ হইলে অপূর্ণতা কি সংকীর্ণতা তথায় স্থান পায় না। প্রকৃত উন্নতি লাভ করিলে কাৰ্য্য করিতেই হইবে । তবে কাৰ্য্য সকলের একরূপ। কখনই হইতে পারে না । সকলেই প্রচার কি বক্তৃতা বা সংবাদপত্ৰ প্ৰকাশ ও পুস্তক প্রণয়ন করিবে, নতুবা তাহাদিগকে ক্রিয়াশীল বলিব না ইহা অজ্ঞের কথা । সকলকেই ধৰ্ম্মপরায়ণ যোগী হওয়া চাই, অথচ সাংসারিক নানা কৰ্ম্মে বিভক্ত হইতে হইবে । বক্তৃতা করা কাহারও কাৰ্য্য, পুস্তক লেখা অপরের কাৰ্য্য ; কেহ বা কৃষিকাৰ্য্য করিবে, কেহ বিচারপতি হইবে ; কাহাকে জমিদারী দেখিতে হইবে, কাহাকে স্বদেশ রক্ষার জন্য যুদ্ধ করিতে হইবে ; আর কেহ বা কেবল - নির্জনে বসিয়া সাধন