পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অ্যাশাবতীর উপাখ্যান " RitvS) করিবেন ও অপর সকলকে আপনার ধৰ্ম্মজীবনের অমূল্য সত্য বিৱলে শিক্ষা দিবেন । সুতরাং দেখা গেল যে যোগ সকলের সাধারণ ভিত্তি ভূমি। তাহার উপর দণ্ডায়মান হইয়া র্যাহার যেরূপ সুবিধা তিনি সেইরূপ উপায়ে মানবজাতির কল্যাণের জন্য জীবনযাত্ৰা নির্বাহ করিবেন।” গোস্বামী মহাশয় ১২৯০ সনে আষাঢ় মাসে যোগসাধন গ্ৰহণ করেন, আর ১২৯২ সনে বামাবোধিনী পত্রিকায় তাহার লিখিত আশাবতীর উপাখ্যান প্ৰকাশিত হয় । আমরা বহু লোকের মুখে শুনিয়াছি উক্ত । উপাখান তঁাহার স্বীয় জীবনের ঘটনা অবলম্বনে লিখিত হইয়াছে । আশাবতীর অকপট বিনয়, তীব্রবৈরাগ্য, চিত্তের দীনতা, হৃদয়ের প্রগাঢ় পবিত্রতা, গুরুর নিকট দীক্ষা গ্ৰহণ, তীর্থভ্ৰমণ, সাধুর সঙ্গে ধৰ্ম্মালাপ যেরূপ বৰ্ণিত হইয়াছে গোসাইজীর জীবনে ঐ রূপ ঘটিয়াছিল। তঁহার ব্যাকুলতার কথা ভাষায় প্ৰকাশ করা যায় না । তীব্র ব্যাকুলতায় এক সময়ে তিনি “আমার কিছুই হইল না,’ মনে করিয়া কতই না মৰ্ম্মান্তিক যাতনা প্ৰকাশ করিয়াছেন, এবং দিবস যামিনী অনাহারে অনিদ্রায় গত হইয়াছে। অবশেষে প্ৰেমময় পরমেশ্বর আত্মস্বরূপ প্ৰকাশ করিয়া তাহার তৃষিত আত্মার শান্তিবিধান করিলেন, দেহে থাকিয়াই তঁহার भूख्म्लािङ श्श्व्ण । * আশাবতীর উপাখ্যানে ধৰ্ম্মসাধনবিষয়ক অনেক সারগর্ভ উপদেশ লিপিবদ্ধ হইয়াছে। এস্থলে উক্ত গ্ৰন্থ হইতেও কিঞ্চিৎ সংগৃহীত হইল - “মনুষ্য কুসঙ্গে কুঅভ্যাসে পবিত্ৰ স্বভাবকে নষ্ট করিয়া ফেলে। তজন্য পুনর্বার সেই স্বভাব লাভ করিবার জন্য সাধনের প্রয়োজন * * মাতার স্নেহ, স্তন্য দুগ্ধ, জল, বায়ু, উত্তাপ * * শরীর রক্ষার উপযোগী সকল পদার্থ অনায়াস-লভ্য ; * * আত্মার প্রয়োজনীয় বস্তু যে দুস্তপ্রাপ্য তাহা নহে। ** আত্মা ক্ষুধায় কাতর হইয়া ক্ৰন্দন করিলেই বিশ্বজননী **