পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশাবতীর উপাখ্যান ミ@r?- “পণ।-ঈশ্বর দর্শন ভিন্ন মন নিঃসংশয় হয় না। কেহ বলে তিনি সাকার, কেহ বলে নিরাকার ; তাহ প্ৰথমে কিরূপে স্থির করিব ? উত্তর।--শাস্ত্ৰে আছে, তিনি নিরাকার এবং তিনি স\কার । এই ৷ বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড কিছুই ছিল না । পরব্রহ্ম স্বীয় শক্তি দ্বারা এই অখণ্ড ব্ৰহ্মাণ্ড সৃষ্টি করিয়াছেন। স্বাক্ট পদার্থ জড় ও চেতন । ক্ষিতি, অপত্ৰ তেজ, মরুৎ, ব্যোম এই সকল পদার্থ এবং তত্তদযোগে যত কিছু পদার্থ হইয়াছে সমস্তই জড় | কীট, পতঙ্গ, পশু, পক্ষী, মনুষ্য ইহার চেতন । সৃষ্টিকর্তা এই উভয়বিধ পদার্থ হইতেই স্বতন্ত্র । তিনি সৃষ্টি করিয়াছেন, কিন্তু নিজে স্বতন্ত্র । কাহারও সহিত তাহার তুলনা হয় না । এ জন্য তিনি নিরাকার । নিরাকার বলিতে শ্যান্য নহেন ;- তিনি সচিদানন্দ । তাহার রূপ আছে ; সে রূপ নিত্যরূপ ; সেরূপ সচ্চিদানন্দময় ; জ্ঞানচক্ষু, ভক্তিচক্ষু প্ৰস্ফুটিত হইলে পরমেশ্বরের নিত্য রূপ দৰ্শন করা যায়। যত দিন তাহার নিত্যরূপ দৰ্শন না হয়, ততদিন তাহাকে লাকার, নিরাকার বলিয়া যাহা প্ৰকাশ করিবে তাহা তোমার কল্পনা অথবা শোনা কথা । চিরকাল ভক্ত সাধকগণ ভগবানকে দর্শন করিয়া অপার ব্ৰহ্মানন্দ ভোগ করিয়া আসিতেছেন। সেই রূপ মাধুরী যে একবার দেখিয়াছে সে আর তাহ। ভুলিতে পারে না । বাগানের কৰ্ত্ত। বাগানে আসিলে বাগানের মালী যেমন দূরে গিয়া দণ্ডায়মান ঈয়, সেইরূপ দীনবন্ধু প্ৰভু হৃদয়-উদ্যানে উপস্থিত হইলে অহঙ্কার মালী দূরে গিয়া করযোড়ে অবস্থিতি করে । ‘প্ৰভো ! আমি দাস, মালীর খে কেবল এই কথা। প্রভুর আগমনে মালী বন্দনা করিলে শরীরের রামগুলি ভক্তি ভাবে দাড়াইয়া প্রভুর স্তব করে, নয়ন তঁর চরণ ধৗত করে ।” “প্রশ্ন। তবে লোকে তঁহার মূৰ্ত্তি গড়িয়া পূজা করে কেন ?