পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। এক সময়ে ইহার জননী একটী হীন-চরিত্রা নিরাশ্রয়া স্ত্রীলোককে দয়া-পরবশ হইয়া আশ্রয় ও দীক্ষা দেন ; এবং অবশেষে ঝি’র কাৰ্য্যে নিযুক্ত করিয়া গৃহের সমস্ত কাৰ্য্যভার তাহার উপর ন্যস্ত করেনু । ইহাতে ঐ স্ত্রীলোকটীর মতি ফেরে, ধৰ্ম্মের দিকে মন যায়। স্ত্রীলোকটী সময় সময় তাহার সম অবস্থাপন্ন অন্যান্য স্ত্রীলোকের দুৰ্গতি দর্শনে দুঃখ করিয়া বলিত, “মা আমাকে আশ্রয় দিয়া বঁাচাইয়াছ ; আশ্ৰয় না। দিলে আমারও দুৰ্গতির সীমা থাকিত না। ঐ অমুকের কি ক্লেশ হইতেছে ; রোগে জলটুকু পায় না, পথ্য পায় না ইত্যাদি।” এই পরিচারিকার মুখে দুঃখিনী স্ত্রীলোকদিগের ক্লেশের কথা শুনিয়া বালক বিজয়কৃষ্ণ মাতার নিকট হইতে পথ্য লইয়া দৌড়াইয়া গিয়া তাহাদিগকে দিয়া আসিতেন ; আর তাহারা দুই হাত তুলিয়া তাহার কল্যাণ কামনা কিরিত। তাহার কোমল প্ৰাণে তিনি কখনও পরের দুঃখ সহ্য করিতে পারিতেন না । বালক বিজয়কৃষ্ণ মাতার সঙ্গে কখনও মাতুলালয়ে, কখনও শান্তিপুরে বাস করিতেন ; এবং - যখন যেখানে থাকিতৃেন সেখানকার পাঠশালায় ভক্তি হইয়া শিক্ষা করিতেন। যদিও শৈশবে পড়ার প্রতি র্তাহার প্রগাঢ় মনোযোগ ছিল না ; এবং একাদিক্ৰমে একই পাঠশালায় অধিক দিন অধ্যয়ন করাও তাহার ঘটে নাই, তবুও স্বাভাবিক ধী-শক্তি বলে তিনি সকল পাঠশালাতেই সৰ্ব্বপ্রথম স্থান অধিকার করিয়া গুরুমহাশয়দিগের ভালবাসা লাভ করিয়াছিলেন । এই সময় শান্তিপুরে ভগবান গুরু মহাশয়ের খুব নাম হইয়াছিল। তথুন শান্তিপুরে ইংরেজী স্কুল ছিল না, গুরু মহাশয়ের পাঠশালা এবং ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়দিগের টোলই শিক্ষার প্রধান স্থান ছিল। ভগবান গুরু মহাশয়ের কিছু রাগ ছিল, রাগিলে অসম্বন্ধ শব্দ