পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खन्ना-दांवाडौवन ७3 भिन्मों । Seo, উচ্চারণ করিতেন ও ছাত্রদিগকে মারিত্বেন , বােধহয় অধ্যাপনা অপেক্ষ নিষ্ঠাই তাহার চরিত্রের বিশেষ গুণ ছিল ; আর হয়ত উহাই তঁহার প্রসিদ্ধির কারণ । বালক বিজয়কৃষ্ণ শিক্ষোন্নতি দ্বারা এই গুরু মহাশয়েরও প্ৰিয়পাত্ৰ হইয়াছিলেন । এই গুরুমহাশয় সম্বন্ধে একটী গল্প আছে ৪—এক দিন ইনি বালক শিষ্যদিগকে বলিলেন, “ওঁরে ছেলেরা, কাল সকালে আসিস এক সঙ্গে গঙ্গায় নাইতে যা|’ব, সেখানে আমি দেহত্যাগ করব।” রাত্ৰিতে এই সংবাদ লোকের মুখে মুখে শান্তিপুরময় ব্যাপ্ত হওয়ায় স্পর দিন পূৰ্ব্বাহ্নে পাঠশালা স্ত্রী পুরুষ বালক বৃদ্ধে পরিপূর্ণ হইল। গুরুমহাশয় সকলকে প্ৰণাম করিয়া তাহার পুলটিকে সঙ্গে লইয়া ধীরে ধীরে গঙ্গাযাত্ৰা করিলেন । গঙ্গায় গিয়া প্ৰথমে স্নান, আহিক করিয়া সকলকে প্ৰণাম করিলেন, এবং তৎপর গঙ্গার জলে বসিয়া জপ করিতে লাগিলেন। চারিদিকে সংকীৰ্ত্তন হইতে লাগিল, ক্রমে জনতায় গঙ্গার ঘাট পরিপূর্ণ হইয়া গেল ; জয়ধ্বনিতে যেন গঙ্গায় তরঙ্গ উঠিল। এইরূপে জপ শেষ করিয়া গুরুমহাশয় বলিলেন, “ছেলে সব, আমি কায়স্থ, তোমরা অনেকে ব্ৰাহ্মণ, আমি কত তাড়না করিয়াছি। এখন বাপু সকল, তোমরা আমার মাথায় পা দাও । আর দেৱী নাই। এই দেখ আমার রথ আসিল ।” ইহা বলিয়া দণ্ডায়মান হইলেন এবং নাম জপ করিতে করিতে সজ্ঞানে দেহ ত্যাগ করিলেন । তখন সমস্ত ব্ৰাহ্মণ-শূদ্র ছাত্র মিলিয়। যেমন পিতা মাতার অস্ত্যেষ্টি-ক্রিয়া। করিতে হয় তেমনি তাহার অন্ত্যেষ্টি-ক্রিয়া সম্পন্ন করিলেন । ইহা গল্প কি সত্য ঘটনা, নির্ণয় করা কঠিন। এইরূপ গল্পে প্ৰতিপন্ন হইতেছে মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণের বাল্য-শিক্ষক একজন তপস্যানিরত ব্যক্তি ছিলেন ; এবং তঁহার তপস্যার প্রভাব তদীয় প্রিয় শিন্যের