পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sዓ° মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । পুনঃ বলিয়া থাকেন এবং তাহ পরীক্ষিতও হইয়াছে। তবে ༼ཨེ་ཙ মাতা গুরুজন যখন আদর করিয়া কিছু দেন তাহা এবং যখন কোন শ্ৰদ্ধেয় ধৰ্ম্মাত্মার ভুক্তাবশেষকে প্ৰসাদ বলিয়া মনে হয় তাহা আহার করিলে হানি নাই; বরং উপকারই হইযা থাকে। এজন্য সকল সম্প্রদায়ের ধাৰ্ম্মিক লোকের প্রসাদ ভোজন উচিত মনে হইলে করিয়া থাকি । ( ৮ ) দেবতার মন্দিরে কালী দুৰ্গা বা অন্য প্ৰতিমার সম্মুখেই যদি আমার ব্ৰহ্মস্মৃৰ্ত্তি হয় তবে সেই খানেই আমি আত্মহারা হইয়া যাই । * অ্যাজার ইষ্ট দেবতাকে প্ৰণাম কবিয ও হ্যত সেইখানে গড়াগড়ি দুঃচৱিতাৰ্থ হই । আমার ঈশ্বর সর্বব্যাপী, সুতরাং আমি যেখানেই উইিখাঁর দর্শন পাই সেইখানেই মুগ্ধ হই, স্থানের বিচার থাকে না। ( ৯ ) কালী দুৰ্গা সকল নামেই ভক্ত ভগবানকে ডাকিতে পারেন, তাহাতে কোন দোষ দেখি না । এজন্য আমার যখন যে নামে প্ৰাণে আরাম হয তখন তাই বলিয়াই ডাকিয়া থাকি । কিন্তু ব্ৰাহ্মসমাজে উপাসনার সমযে কোথাব্য ও এই সকল শব্দ ব্যবহার করিায়াছি বলিযা মনে হয় না। বর্তমান সমযে এইরূপ করাও উপযুক্ত भgन कद्धि का) । ( ১০ ) রাধ। কৃষ্ণের ভাবের মত ধৰ্ম্ম ও যোগ পথের সহায় অন্য কোন ভাব নাই মনে করি । রাধা ভক্ত, কৃষ্ণ উপাস্য দেবতা পরমেশ্বর ; এজন্য সর্বপ্রযত্নে আমি ঐ ভাব সাধনের চেষ্টা করি ও র্যাহারা ঐ আধ্যাত্মিক ভাবে উপকার পান তাহাদিগকে লইয়া একত্রে রাধা। কৃষ্ণের গান করিয়া থাকি। তবে ব্ৰহ্মমন্দিরে উপাসনার সময়ে কখনও ঐ নাম গ্ৰহণ করি নাই ; এবং বর্তমান সময়ে ঐ রূপ করা উচিতও মনে করি না । এই আমাদের যোগ-সাধন প্ৰণালীর সংক্ষিপ্ত বাহিরের কথা ।