পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮৭ মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। পাওয়া যায়। এজন্য গ্ৰন্থশেষে তাহার এই সময়ের উপদেশ স্কুইতে কিঞ্চিৎ সংগৃহীত হইয়াছে। এইবার ঢাকাতে ‘জীবনের লক্ষ্য’। ‘ব্ৰহ্মজ্ঞানী ও ব্ৰহ্মবাদী,’’ প্ৰতিজ্ঞার দৃঢ়তা, উপাসনা ও পরকাল’ সম্বন্ধে তঁাহার যে সমস্ত বক্তৃত হয় উহ, অত্যন্ত হৃদয়স্পৰ্শী হইয়াছিল। ঢাকা অবস্থানকালে তিনি উৎসব ও প্রচার উপলক্ষে কাকিনী, ময়মনসিংহ, বৰ্দ্ধমান, ধুবড়ী, বাকীপুর, মোকামা, দ্বারভাঙ্গা এবং আসামের নানাস্থানে গিয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন । বৰ্দ্ধমানের উৎসবে যে উপদেশ প্রদত্ত হয়, উহাতে প্ৰতিপন্ন করেন যে “দেবকী শ্রদ্ধা, নন্দ-“আনন্দ স্থান, যশোদা সুকৃতি, গো ইন্দ্ৰিয়, গো ইন্দ্ৰিয় বিষয় সকল ।” বলা বাহুল্য সর্বদ। হিন্দুশাস্ত্রের এইরূপ আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা দ্বারা তিনি তঁাহার আন্তরিক ধৰ্ম্মবিশ্বাসের মূল কোথায় তাহারই পরিচয় দিয়াছেন । প্রচারার্থে দ্বারভাঙ্গা গিয়া তাহার হৃদরোগের অত্যন্ত বৃদ্ধি হইয়াছিল, জীবনের কোন আশা ছিল না ; ডাক্তারের নিরাশ হইয়া তাহাকে পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । শুনিয়াছি। এই সময় তাহার গুরুদেব আসিয়া প্ৰাণপণ যত্নে তাহার শুশ্ৰষা করিয়াছিলেন । তঁহার গুরুদেব স্বীয় পরিচয় কাহাকেও দিতেন না। এজন্য পূৰ্ব্বে কেহ জানিতে পারেন নাই ; পরে তিনি পশ্চিমে যাত্ৰা করিলে গোস্বামী মহাশয় শিষ্যগণকে হঁহার পরিচয় দেন । তিনি ময়মনসিংহে যেরূপ কাৰ্য্য করিয়াছিলেন তদ্বিবরণ উদ্ধৃত করি।-- তেছি। —“১৮৮৭ সালের মাঘোৎসবের কয়েক দিন পরেই সারস্বত উৎসব আসিল। এবার সারস্বতের একটু বিশেষত্ব এই ছিল যে সমিতির সভ্যগণ এতদুপলক্ষে ভক্তিভাজন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ও কাঙ্গাল ফিকিরাচাদের দলকে নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিলেন । গোস্বামী মহাশয়ের