পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊ-दोव्Jऊदखान ९० अंश्कीं । Xát. তিনি একবার কথাপ্রসঙ্গে বলিয়াছিলেনু ঃ-“আমার বয়স যখন বার বৎসর সেই সময় আমার একজন বাল্য সঙ্গীর মৃত্যু হয়। ইহার সঙ্গে আমি একত্ৰ খেলা করি তাম । ঐ সময় "আমি আমাদের গৃহে একটা মেটে দেলকোয় প্রদীপ রাখিয়া পড়িতাম। সঙ্গীটীর মৃত্যুর পর একদিন ঐ দেলকে দেখিয়া হঠাৎ আমার মনে হইল, “এই মাটির জিনিষটা আছে আর সে নাই, ইহা হইতে পারে না।” তার পর আমি যে কাটাল তলায় খেলিতাম। সেখানে গিয়া ও আমার মনে হইল, কঁাটাল গাছ আছে আর সে নাই। ইহা হইতে পারে না । সে অবশ্যই আছে।” এইরূপে গৃহের সামান্য উপকরণের সঙ্গে তুলনা করিয়া মানবাত্মার শ্ৰেষ্ঠতা বোধ ও আত্মার অমরত্বে বিশ্বাস যাহার মনে বল্যেই ॐनिाशाछिब्ल তাহার ভবিষ্য জীবনের একখানি উজ্জল-চিত্র আমাদের সম্মুখে উপস্থিত হওয়া স্বাভাবিক । e O শান্তিপুরের টোলে অধ্যয়ন করিতে করিতে বিজয়কৃষ্ণ যৌবনে পদাৰ্পণ করেন। তখনও তাহার প্রকৃতি শিশুর ন্যায় সরল ; যৌবনের কোনরূপ চাপল্য তাহার চরিত্রকে স্পর্শ করিতে পারে নাই। কিন্তু সরলতা, দয়াদি বৃত্তি যেমন "তাহার চরিত্রকে কুসুমের কোমলতায় অলঙ্কত করিয়াছিল, তেমনি তৎসঙ্গে ন্যায়পরতা, সত্যানুরাগ, অন্যায়অসত্যে ঘোর-বিতৃষ্ণা তাহার স্বভাবকে বজাদপি কঠোর করিয়া তুলিয়াছিল । আমরা শুনিয়াছি, শান্তিপুরে তাহার এমন একটি দল ছিল, যে দলের প্রধান কাৰ্য্যই ছিল অন্যায়কারী ও মাতালদের দমন । করা । অন্যায়কারীরা , এজন্য তঁহাকে ভয় করিয়া চলিত । একবার তাহার কোন বন্ধু তাতার মন পরীক্ষার জন্য মুখে মদ মাখিয়া তাহার নিকটে আসিয়াছিল। তাহাতে তিনি বন্ধুকে মদ্যপায়ী মনে করিয়া এরূপ বিরাগ প্ৰকাশ করিয়াছিলেন যে তাহার ঐ বন্ধু দুঃখে দেশত্যাগী ।