পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰশান্তভাবে ধৰ্ম্মসাধন।। ৫ રre. নাই। ইহাতেই বোধ হইতে পারে ? তাহার দৃষ্টি কোন দিকে ছিল । , ব্ৰাহ্ম সাধারণের সঙ্গে তঁহার কোন কোন বিষয়ে মতভেদ ঘটিয়াছে, ইহা তিনি বুঝিয়াছিলেন ; কিন্তু তাহাতেই নিজকে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম হইতে বিচু্যত মনে করেন নাই ; নিজকে ব্ৰাহ্মই বলিয়াছেন। ব্ৰাহ্মগণকে তঁহার মতের প্রতিবাদ করিতে দেখিয়া তিনি অসন্তোষ প্ৰকাশ ঘী র্তাহাদের প্রতি দোষারোপ করেন নাই। বরং যে যে মতে অমিল হইয়াছে, ব্ৰাহ্মগণের পক্ষে সরলভাবে তাহার সেই সেই মতের প্ৰতিবাদ করা ন্যায়-সঙ্গতই বোধ করিয়৷ ছেন । এজন্য বলিয়াছেন ;- “যদি ব্ৰাহ্মেরা আমার মতের প্রতিবাদ না করিতেন তাহা হইলে আমি মনে করিতাম, ব্ৰাহ্মসমাজ মরিয়া পচিয়া পুতিগন্ধময় হইয়া গিয়াছে।” তিনি স্বয়ং এক সময়ে ঘোর প্রতিবাদকারী ছিলেন, অপরে র্তাহার প্রতিবাদী হইলে তঁাহার কি বলিবার আছে ? সরলতবে অভিসন্ধি-বিহীন হইয়া ন্যায়ের, সত্যের সমর্থন করা তাহার স্বভাবসিদ্ধি ধৰ্ম্ম ছিল; এই ধৰ্ম্মের বুদ্ধিতে ব্ৰাহ্মগণ র্তাহার মতের প্রতিবাদ করিতেছেন দেখিয়া তিনি উহার সমর্থনই করিয়। ছেন । অভিসন্ধি-বিহীন অবস্থা ধৰ্ম্মপথের সহায় ইহা তাহার জীবনে প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে। নানাপ্রকার বাদ প্ৰতিবাদের মধ্যে কোন শক্তি তঁাহার প্রশান্তভাব রক্ষার সহায় হইয়াছিল ? কোন শক্তি র্তাহাকে নিয়ত তাহার ব্ৰত সাধনে ও মধুর সন্তাপহারিক উপদেশ দানে নিরত রাখিয়াছিল ? ব্ৰহ্মশক্তি ব্যতীত অপর কোন শক্তিরই সে সাধ্য নাই । তিনি এই ব্ৰহ্ম শক্তির উপর তঁাহার জীবনের সমস্ত ভার ন্যস্ত করিয়া ধীরভাবে নিয়ত ব্ৰহ্মযোগ সাধনে রত ছিলেন । এই ব্ৰহ্মযোগ সাধনে তিনি যে পরমবস্তু প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। তাহার পরিচয় তাহার কথাতেই প্ৰকাশ করিতেছি। --“ঈশ্বর কৃপায়। "a