পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર૪૭ মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । গয়াতীর্থে আকাশগঙ্গা নামক পৰ্ব্বতে একজন নানকপন্থী মহাত্মা কৃপা করিয়া আমাকে এই যোগ-ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন। সেই অবধি আমার জীবনে এক অপূর্ব অবস্থা খুলিয়া গিয়াছে। অবশ্য আমি দেবতা হইয়া গিয়াছি বলিতে পারি না ; কিন্তু এ টুকু না বলিলে মিথ্যা বলা হয় ও অকৃতজ্ঞতা হয় যে আমার অভাব, মোচন হই য়াছে ; এবং আমি এক অনন্ত রাজ্যের দ্বারে আসিয়াছি, কি যে সম্মুখে দেখিতেছি তাহা ভাষায় প্ৰকাশ করিতে পারি না।”* “আমার অভাব মোচন হইয়াছে’ এইরূপ কথা মানুষ কতদূর সাহস পাইলে বলিতে পারে তাহা বিবেচনার বিষয়। ইহার অপেক্ষ আর সৌভাগ্য কি হইতে পারে ? সংসারে মানুষ অহর্নিশি ত্রিতাপ জালায় দগ্ধ হইতেছে ; কিন্তু এইরূপ ঘোর সন্তাপের মধ্যে যিনি তাপ। বিহীন প্ৰশান্ত জীবন প্ৰাপ্ত হইয়াছেন কেবল তিনিই বলিতে পারেন “আমার অভাব মােচন হইয়াছে।” এরূপ লোকের কথায় নর নারীর প্ৰাণে কিই না। আশার সঞ্চার করে। ভারতের প্রাচীন ঋষিগণ অবাঙমনসোগোচর ব্ৰহ্মকে করতলন্যস্ত আমলকের ন্যায় প্ৰত্যক্ষ দর্শন করিয়াছিলেন ; ইনি যেন তাহাদিগের সহিত আধ্যাত্মিক যোগে যুক্ত श्। दक्लिशांछन १ শৃশ্বস্তু বিশ্বেহমৃতস্য পুত্ৰী, আ যে ধামানি দিব্যানি তস্থঃ ; বেদাহ। মেতং পুরুষং মহান্তং, আদিত্য বৰ্ণং তমসঃ পরস্তাৎ ।” হে দিব্যধামবাসী অমৃতের পুত্ৰসকল, তোমরা শ্রবণ করা, আমি এই তিমিরাতীত জ্যোতিৰ্ম্ময় মহান পুরুষকে জানিয়াছি।” ঢাকা, একরামপুরের বাসায় একবার ধূলোট উৎসব হয় ; এতদুপলক্ষে দুই তিন দিন খুব কীৰ্ত্তন হয়। কীৰ্ত্তনে এমন এক মহাভাবের * যোগসাধন। – -------------- ۔ ۔ -------------- - - -۔ ۔ ۔ ۔ ۔ ۔ ۔