পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগীয় রাজনারায়ণ বসুর মত । ❖b”ዓ সঞ্চার হইয়াছিল যে, একজন লোক ভাবের অবস্থায় একেবারে দেহত্যাগ করিয়াছিলেন। এতদ্ব্যতীত কত লোককে অজ্ঞান অবস্থায় গৃহে লইয়া যাইতে হইয়াছিল। তঁহার প্রবল ধৰ্ম্মাকাঙ্ক্ষার সংস্পর্শে আসিয়া, গভীর ভক্তি ও বিশ্বাসের, দৃষ্টান্ত দেখিয়া লোকের জীবনের এমনই পরিবর্তন সাধিত হইত । পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজের সঙ্গে সম্পর্ক রহিত হওয়ার সময়ে শ্ৰীযুক্ত নবকান্ত চট্টোপাধ্যায় মহাশয় বিশেষ উদ্যোগী হইয়া গোস্বামী মহাশয়ের মত ব্ৰাহ্মসমাজের মত হইতে স্বতন্ত্র, ইহা প্ৰতিপন্ন করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন । এজন্য তিনি মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর ও রাজনারায়ণ বসু মহাশয়ের মত সংগ্ৰহ করেন । মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ শ্ৰীযুক্ত প্রিয়নাথ শাস্ত্রী মহাশয়ের সাহায্যে জানাইয়াছিলেন যে, “যাহা ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্রন্থে, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম ব্যাখ্যানে, ও ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মত ও বিশ্বাস পুস্তকে তাহা তিনি সুব্যক্ত করিয়াছেন। এই সকলের বিপরীত যিনি যাহাঁই বলুন তাহ ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম নহে।” রাজনারায়ণ বসু মহাশয়ের পত্রের কতকাংশ এইরূপ :-- “কয়েক মাস পূৰ্ব্বে শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয়, দেওঘরে আইসেন। তাহার সহবাসে একদিন থাকিয়া দেখিলাম, র্তাহার যেরূপ আধ্যাত্মিক উন্নতি হইয়াছে এরূপ আধ্যাত্মিক উন্নতি ব্ৰাহ্মসমাজের মধ্যে বিরল। যে একদিন এখানে ছিলেন। তঁহার সহবাসে কি পৰ্য্যন্ত আনন্দ-লাভ করিয়াছিলাম তাহ বলিতে পারি না । তঁহার সহিত ছাড়াছাড়ি হইবার সময় কষ্ট হইতে লাগিল। কিন্তু উল্লিখিত আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভের সঙ্গে তিনি এমত কতকগুলি মত অবলম্বন করিয়াছেন যাহা ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের শাস্ত্ৰ সঙ্গত নহে ; এবং যাহা অবলম্বন জন্য ব্রাহ্মেরা নিজ সম্প্রদায়ের বক্ষে তঁহাকে রাখিতে