পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રક્ત মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । পারেন্স না ; আর তঁাহারও তা হাতে থাকা উচিত হয় না। তিনি যদি ব্ৰাহ্মসমাজ হইতে বাহির হইয়া একটিী নূতন হিন্দু ਸਾਬ সংস্থাপন করেন তাহা হইলে উক্ত অসঙ্গতি দোষ দূর হয় ; এবং তিনি আমার অবিমিশ্র শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেন। আমি অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের ( ব্ৰাহ্মসম্প্রদায়কে আমি হিন্দু সম্প্রদায় জ্ঞান করি। ) একান্ত ঈশ্বর-পরায়ণ সাধুদিগকে তঁহাদিগের ভ্ৰম সত্ত্বেও যেমন অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। তাহাকেও সেরূপ শ্রদ্ধা করিব । আমি তাহাকে একজন প্ৰকৃত সাধুপুরুষ বলিয়া মনে করি। মত-বিভেদ সত্ত্বেও আমি ঐ রূপ জ্ঞান করি। মানুষ্যের মুখশ্ৰী যেমন ভিন্ন ভিন্ন তেমনি ধৰ্ম্মমতও ভিন্ন ভিন্ন । আমি কখনই প্ৰত্যাশা করিতে পারি না যে সকল মনুস্য এক মতাবলম্বী হইবে । স্নেহশীল শ্ৰী রাজনারায়ণ বসু।” * ইহার পর গোস্বামী মহাশয়ের বর্তমান মত সম্বন্ধে মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথের সঙ্গে পত্ৰ লেখালেখি হয় । উহা নিয়ে উদ্ধত হইল ; মহর্ষির পত্র । * স্নেহাস্পদেষু, তোমার মূৰ্ত্তি যেমন -সৌম্য, তোমার প্রকৃতি যেমন ধীর, তোমার ঈশ্বর-প্রেম তাহারই সদৃশ। তুমি একদিন শুভক্ষণে ব্ৰাহ্মসমাজে আসিয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের ব্যাখ্যান শুনিতে শুনিতে তাহাতে আকৃষ্ট হইলে এবং কত কঠোর ত্যাগ স্বীকার করিয়া তুমি ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ ও প্রচার করিলে। ব্ৰাহ্মসমাজের উন্নতির জন্য ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্রের প্রতি আমার সমধিক আশা ছিল ; কিন্তু তিনি পরম পিতার আহবানে অল্প বয়সেই

  • তত্ত্বকৌমুদী, ১৮০৯ শক, ১লা পৌষ । – 崇 তত্ত্বকৌমুদী, obre à শত্ৰুঃ ১৬ই ফাল্গুন।