পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ܘܗܶܕܶ করা ; ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ হইলে আপনা। আপনি পৌত্তলিকতা জাতিভেদ ইত্যাদি কুসংস্কার চলিয়া যাইবে ; পূৰ্ব্বে ঐ সকল ত্যাগ না করিলে ব্ৰহ্মোপাসনার ক্ষতি নাই অর্থাৎ যে ব্যক্তি যে ধৰ্ম্ম সরলভাবে বিশ্বাস করে সেই ধৰ্ম্মসাধন করিতে করিতে সেই ব্যক্তি কালে সত্য লাভ করিবে ; সিদ্ধ-যোগীর সূক্ষ্ম শরীরে আগমন ও আলাপাদি করা এই সকল কথা তোমার মত বলিয়া ব্যক্ত হইয়াছে। বিশুদ্ধ ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের মত ও বিশ্বাসকে এই সকল অযথাবাদ ও কুসংস্কারযুক্ত করিয়া প্রচার করিতে হইলে তাহার গতিরোধ করা হয়। একমাত্র পৌত্তলিকতা। পরিহারের জন্যই এ দেশে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের উদ্ভব এবং রামমোহন রায় হইতে এখনকার নবীন প্রচারক অবধি সকলের এত চেষ্টা ও যত্ন । এই চেষ্টা ও যত্নের পরিণাম কি এই হইবে যে ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভের পূৰ্ব্বে পৌত্তলিকতা পরিত্যাগ করিতে হইবে না ? আত্মার সহিত পরমাত্মার যে যোগ তাহা স্বাভাবিক যোগ এবং ঋষিদিগের আত্মা অবধি আমাদিগের প্রত্যেকের আত্মার স্বতঃসিদ্ধ প্ৰত্যয় । এই আত্ম-প্ৰত্যয়ের স্থানে কি এখন সাধুর পদে পড়িয়া না থাকিলে; সাধুর পদধূলি অঙ্গে না মাখিলে এবং অন্য কর্তৃক শক্তি সঞ্চারিত না হইলে মনুষ্যের ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ হইবে না, এই প্ৰত্যয়কে হৃদয়ে স্থান দিতে হইবে ? এই প্ৰত্যয় যদি হৃদয়ে স্থান দিতে হয়, তবে গায়ত্রী মন্ত্রের মূল্য থাকে না, “হৃদ মনীষা মনসাভি ক্লপ্ত” অর্থাৎ হৃদগত সংশয় রহিত বুদ্ধির যোগে মনন করিলে ব্ৰহ্ম প্ৰকাশিত হন, এই ঋষি-বাক্য মিথ্যা হয় ; এবং আধ্যাত্মিক যোগের শিক্ষা ও ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মূলবিশ্বাস বিধ্বস্ত ও বিপৰ্য্যস্ত হইয়া যায় । ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের সত্য ধ্রুব সত্য। তাহা প্রথম যুগে যেমন শেষ যুগেও তেমনি । দুৰ্য্যলোকেও যেমন ভুলোকেও তেমন । তাহার রূপান্তর