পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যে ফঁাহাদের সঙ্গে তাহার গভীর আধ্যাত্মিক যোগ ছিল তিনি তঁহাদের আহবানে সময় সময় উৎসবাদিতে নানাস্থানে গমন করিতেন ; এবং লোকদিগকে যোগসাধনে দীক্ষা দিতেন ; ব্ৰাহ্মসমাজের পত্রিকাদিতে ও কাৰ্য্যবিবরণীতে র্তাহার কাৰ্য্যবিবরণ প্ৰকাশ করিতেন না। গেণ্ডারিয়া অবস্থানকালে কতকদিন' তাহার আশ্রমের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত অসচ্ছল ছিল ; তিনি কয়েকজন শিস্যসহ বাস করিতেন । একদিন শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় গেণ্ডারিয়া আশ্রমে উপনীত হইলে যোগজীবন বাবু তঁহাকে আহারের নিমন্ত্রণ করেন ; এবং স্বহস্তে রন্ধন করিয়া খাওয়াইতে অভিলাষী হন। শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰ বাবু যথাসময়ে স্নানাদি করিয়া উপস্থিত হইয়াছেন, গোস্বামী মহাশয়ের সঙ্গে নানাবিষয়ে ধৰ্ম্মপ্রসঙ্গ হইতেছে ; কিন্তু রন্ধনের কোনই আয়োজন হয় নাই ; যেহেতু রন্ধনের কোন উপকরণই ছিল না। ইতিমধ্যে মাষ্টার আনন্দ বাবুর বাড়ী হইতে বিবিধ প্রকারের রন্ধনোপকরণ আসিলে গোসাইজী সহস্যে বলিলেন ;- “আপনার সিধে এল,” নগেন্দ্ৰ বাবু বলিলেন। —“হাসছেন কেন?” গোসাইজী ;-আজি আমাদের ঘরে একটিীও পয়সা ছিল না যে নিজেরা খাই বা আপনাকে খাওয়াই । ভাবলাম নিজেরা বরং উপবাস করব। কিন্তু আপনি নিমন্ত্রণে এসে ফিরে যাবেন। এ কেমন হবে ? শেষে মনে করলাম বিধাতা কিছু জুটিয়ে দেবেন, তা দেখছি। যথাসময়ে আপনার জন্য সিধে আসছে।” নগেন্দ্ৰ বাবু ;-“যোগজীবন আমাকে রোধে খাওয়াবেন বলেছেন।” গোসাইজী :-(। সহস্যে চক্ষুতে হাত বুলাইয়া ) ‘তা’হলে কঁপৃদূতে কঁদতে খেতে হবে ( অর্থাৎ ভাল রাধা হবে না বলে খাইতে খুব কষ্ট হবে) ।” তারপর যোগজীবন বুবু স্বহস্তে রন্ধন করিয়া খাওয়াইলেন।*

  • শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। কথিত । :