পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতায় অৱস্থান । ് পত্নী বিয়োগের পর তিনি ঢাকাতে আসিয়া ভঁাহার পত্নীর গেণ্ডারিয়া আশ্রমে সমাধিস্থ করিয়া। তদুপরি মন্দির প্রতিষ্ঠিত করিলেন", শুনিয়াছি তিনি সহধৰ্ম্মিণীর দেহত্যাগের পর বৃন্দাবনে এই আদেশ পাইয়াছিলেন যে, “গেণ্ডারিয়া গিয়া ইহার অস্থি সমাধিস্থ করিয়া নাম ব্ৰহ্মের মন্দির প্রতিষ্ঠা কর এবং তদ্বারা গৃহে গৃহে ব্ৰহ্মনাম প্রতিষ্ঠিত হউক।” ব্ৰহ্মনামের মহিমা প্রচার তাহার জীবনের একমাত্র ব্ৰত হইয়াছিল। যে নামের প্রভাবে তঁহার ধৰ্ম্মস্রোত খুলিয়া গিয়াছিল। সেই নাম লইয়া নরনারী নবজীবন লাভ করুক এজন্য তিনি সকল অনুষ্ঠানকে নামযোগে সঞ্জীবিত করিয়া তুলিয়াছিলেন । ঢাকার আশ্রমে কিছুদিন সাধন ভজনে যাপন করিয়া তিনি সশিস্যে । কলিকাতা গমন করেন । এখানেও তঁাহার সাধন ভজন ও দীক্ষাদান প্ৰবল উদ্যমে চলিতে লাগিল । কলিকাতা অবস্থান কালে তঁাহার আশ্রমের কাৰ্য্য কি ভাবে নির্বাহ হইত। তৎসম্বন্ধে তাহার প্রাচীন বন্ধু শ্ৰীযুক্ত যদুনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশয়ের উক্তির মৰ্ম্ম উদ্ধৃত করিতেছি ;- “ব্ৰাহ্মসমাজ হইতে স্বতন্ত্র হইয়া কলিকাতায় অবস্থানকালে নানা छ्न् হইতে दछ ধৰ্ম্মানুরাগী পুরুষ ও মহিলা তাহার আশ্রমে একত্ৰ হইয়াছিলেন। নানা দেশের নরনারীতে র্তাহার গৃহ পূর্ণ হইয়া গিয়াছিল। গোস্বামী মহাশয় প্রতিদিন নিয়মিতরূপে নিষ্ঠা ও অনুরোগের সহিত ভাগবত পাঠ ও ব্যাখ্যা করিতেন, আর উহা শ্রবণের জন্য দলে দলে লোক একত্র হইত। তাহার সরল ও প্রাণস্পৰ্শী ধৰ্ম্মব্যাখ্যায় শ্রোতৃগণ এতদূর আকৃষ্ট হইত। যে উহা পরিত্যাগ করিয়া কাহারও উঠিতে ইচ্ছা! হইত না। ঐ সময় যদিও তঁাহার কোন নির্দিষ্ট আয় ছিল না, তবুও অনায়াসে আশ্চৰ্য্যরূপে তাহার আশ্রমের সমস্ত ব্যয় নিৰ্বাহ হইয়া । যাইত। কোথা হইতে কিরূপে বস্তায় বস্তায় ময়দা ও তারে ভাৱে ।